নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে গোটা বিশ্বে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে। সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে কিছুই নেওয়া হয়নি তাদের তরফ থেকে কিন্তু বারংবার সতর্কবার্তা জারি করেছে তারা। আরো ভয়ঙ্কর রূপ নেবে করোনাভাইরাস, এই ধরনের মন্তব্য বহুবার শোনা গেছে তাদের থেকে। এবার আরো একবার একই ধরনের সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দাবি করা হলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর আরো ভয়ঙ্কর হবে করোনাভাইরাস।
ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত ভারত। দিনপ্রতি সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে এবং একই রকমভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন সতর্কবাণী অবশ্যই চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের কপালে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছর অবস্থা আরো শোচনীয় হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাঁচ মাস অতিক্রান্ত, পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্যই বিশেষ নজর রয়েছে ভারতের ওপর বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে সব থেকে অবস্থা খারাপ ভারতের। এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে জাপানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তারপরেই এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যত দিন যাচ্ছে ভারতের সংক্রমণের হার তত বাড়ছে। এর আগে একাধিক পরিসংখ্যান দাবি করেছিল যে, ভারতের সমগ্র সংক্রমণের হার মূলত পাঁচটি রাজ্য থেকেই বাড়ছে। যদিও বাকি রাজ্যের অবস্থায় যে খুব একটা ভালো তা একেবারেই নয়। এই পরিস্থিতির মধ্যে অক্সিজেন সহ করোনাভাইরাস চিকিৎসা ওষুধের আকাল দেশের পরিস্থিতি আরো জটিল করেছে। অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগী মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। ভ্যাকসিন নিয়েও সমস্যায় পড়েছে ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা অনুযায়ী আগামী দিনে যে আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে আমাদের দেশ তাতে কোন সন্দেহ নেই।