নয়াদিল্লি: চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল ভারতে তার ভূয়শী প্রশংসা ইতিমধ্যেই করেছে বিশ্ব সংস্থা সংস্থা। এর মাঝে একাধিকবার একদিনে টিকাকরণের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে ফেলেছে ভারত। আগামী কয়েক সপ্তাহে টিকাকরণের সংখ্যা ১০০ কোটি অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলবে। এই পরিস্থিতির মাঝে এবার ভারতের আরো বড় প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দাবি করা হল, ভারত এখন গোটা বিশ্বের ফার্মেসিতে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, যত দিন যাচ্ছে ভারত বিশ্বের ফার্মেসিতে পরিণত হচ্ছে। বিগত ৭৫ বছরের ইতিহাসে এটাই ভারতের অন্যতম বড় কৃতিত্ব বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, পোলিও দূরীকরণ থেকে শুরু করে টিকাই আরোগ্য সম্ভব এমন রোগের দূরীকরণ, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মৃত্যু হার কমানো, এই সব কিছুতে ভারত ব্যাপক প্রশংসার দাবি রাখে। আর এই ভাবেই গোটা বিশ্বের কাছে ভারত ওষুধের ভাণ্ডারে পরিণত হচ্ছে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বের কাছে ভারত এখন যেন ফার্মেসি। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী। তাঁর কথায় এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে বিগত ৭০-৮০ বছর ধরে ভারত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যথেষ্ট উন্নতি করেছে, তবে আগামী দিনে পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে আরো নজর রাখতে হবে। যদিও তিনি এটাও মেনে নিয়েছেন যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য বিশ্বের একাধিক দেশের মতো ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে। তাই আগামী দিনে আরো পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর বিশ্বের একাধিক দেশে তা সরবরাহ করেছে ভারত। একটা সময় যখন দেশে ভ্যাকসিনের অভাব ছিল বলে বিরোধীরা আক্রমণ করেছিল তখন এও দাবী করা হচ্ছিল যে বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন বাইরে রপ্তানি করা হয়েছে বলে দেশের মানুষের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের ভ্যাকসিনের পরিসংখ্যান এবং টিকা প্রাপকের সংখ্যা সমস্ত সমালোচনার জবাব দিয়েছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন শুধুই করোনা ভাইরাস মুক্ত দেশ তথা বিশ্ব দেখার অপেক্ষায় সকলে।