অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কে, কী বললেন জানেন?

নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যে দিয়ে আপাতত শেষ হল বহু প্রতীক্ষিত এবং বিতর্কিত একটি অধ্যায়৷ আর এরপরেই সংবাদ মাধ্যম থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় জানা গিয়েছে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ায়৷ দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ট্যুইট করে বলেন, ‘‘মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় রায় প্রকাশ করেছে এই রায় কারো জয় বা কারো

অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কে, কী বললেন জানেন?

নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যে দিয়ে আপাতত শেষ হল বহু প্রতীক্ষিত এবং বিতর্কিত একটি অধ্যায়৷ আর এরপরেই সংবাদ মাধ্যম থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় জানা গিয়েছে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ায়৷

দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ট্যুইট করে বলেন, ‘‘মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় রায় প্রকাশ করেছে এই রায় কারো জয় বা কারো পরাজয় হিসেবে দেখা উচিত নয়৷ রাম ভক্তি বা রহিম ভক্তি নয়, এই মামলার রায়ে জয় হয়েছে ভারত ভক্তির৷’’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা বলে দিল কোনও বিবাদের মিমাংসা করতে হলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলা কতটা জরুরি৷ সব পক্ষকে নিজের নিজের দলিল প্রস্তুত রাখার সময় এবং অবসর দেওয়া হয়েছে৷ ন্যায়ের মন্দির বহু দশক পুরোনো মামলার সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান করল৷’’

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এককথায় ‘ন্যায়বিচার’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ন্যায়বিচার পেয়ছি এবং নিজেকে অত্যন্ত আশীর্বাদ ধন্য মনে করছি যে, সুপ্রিম কোর্ট তার সর্বসম্মত রায় দিয়ে অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে ভগবান রামের জন্য একটি দুর্দান্ত মন্দির নির্মাণের পথ সুগম করেছে৷’’

এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই, সুপ্রিমকোর্ট অবশ্যই সর্বোচ্চ কিন্ত সংশয়াতীত নয়৷ সংবিধানের ওপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে৷ আমরা আমাদের আইনি অধিকার নিয়ে লড়াই করছিলাম৷ স্বান্তনা স্বরূপ ৫ একর জমি আমরা চাই না৷’’

দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সঈদ আহমেদ বুখারী বলেছেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম সর্বোচ্চ আদালতের রায় যাই হোক আমরা যা মেনে নেব৷ বহুদিনের হিন্দু-মুসলিম ইস্যুর এবার একটা শেষ দরকার৷ রিভিউ পিটিশন দায়ের করার বিষয়ে আমার মত নেই৷’’

হিন্দু মহাসভার নেতা স্বামী চক্রপাণি বলেছেন, ‘‘মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই৷ মসজিদ নির্মাণের সময় আমরা সেখানে যাব৷ একইভাবে রাম মন্দির নির্মাণের সময় মুসলিমরাও সেখানে আসতে পারেন৷’’

শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘আমি লালকৃষ্ণ আডবানীর সঙ্গে দেখা করে ওনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাবো৷ এর দিনের জন্য উনি রথযাত্রা করেছিলেন৷ ওনার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেব৷’’

সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এই রায়ের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও বলেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত দুরত্ব মেটায় তা মানুষকে আরও ভালো বানায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *