বিশ্বমঞ্চে ইমরানকে ধুলো চাটানো বিদিশা মৈত্র কে জানেন?

নয়াদিল্লি: নির্ধারিত ছিল মাত্র ১৫ মিনিট৷ কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত উড়িয়ে ৫১ মিনিট ধরে রাষ্ট্রসংঘে শুক্রবার ভাষণ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ৫১ মিনিটের দীর্ষ ভাষণের ২৬ মিনিট ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে গলা ফাটিয়ে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ পাক প্রধানমন্ত্রী সেই দীর্ঘ ভাষণের পর মাত্র ৫ পাঁচটি প্রশ্নের কার্যত ইমরানকে ধুয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের প্রথম একনিষ্ঠতব

বিশ্বমঞ্চে ইমরানকে ধুলো চাটানো বিদিশা মৈত্র কে জানেন?

নয়াদিল্লি: নির্ধারিত ছিল মাত্র ১৫ মিনিট৷ কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত উড়িয়ে ৫১ মিনিট ধরে রাষ্ট্রসংঘে শুক্রবার ভাষণ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ৫১ মিনিটের দীর্ষ ভাষণের ২৬ মিনিট ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে গলা ফাটিয়ে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ পাক প্রধানমন্ত্রী সেই দীর্ঘ ভাষণের পর মাত্র ৫ পাঁচটি প্রশ্নের কার্যত ইমরানকে ধুয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের প্রথম একনিষ্ঠতব সচিব বিদিশা মৈত্র৷ কিন্তু জানেন কি, এই বিদিশা মৈত্র কে?ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁর সন্ধান শুরু হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, ২০১৯ ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের ক্যাডার ছিলেন তিনি৷ ২০০৮ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি৷ গোটা দেশের মধ্যে ৩৯ তম স্থান দখল করেন বিদিশা৷ এরপর ২০০৯ সালে বিদেশমন্ত্রকের সেরা শিক্ষানবিশ অফিসার হিসাবে শিরোপা পান৷ তাঁকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক৷ এই মুহূর্তে তিনি রাষ্ট্রসংঘের ভারতের সব থেকে কনিষ্ঠতম সদস্য৷ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত কোন কোন বিষয়ে তুলে ধরবে, কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করবে, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব রয়েছে এই কূটনীতিকের হাতে৷

শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন৷ এই ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সচিব বিদিশা মৈত্র৷ পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ঘৃণ্য মন্তব্য বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেভাবে পরমাণু হুমকি দিচ্ছে সেটি রাষ্ট্রনায়কের পরিচয় নয়৷ পাক প্রধানমন্ত্রী কি অস্বীকার করতে পারবেন তিনি ওসামাবিন লাদেনকে সমর্থন করেননি৷ পাকিস্তান কি একবারের জন্যও এই উত্তর দেবে? ইমরান খান তিনি কি স্বীকার করবেন, বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত ১৩০ জন সন্ত্রাসী ও ২৫টি জঙ্গি গোষ্ঠীর আশ্রয়দাতা?

তাঁর আরও দাবি, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ছিলেন ২৩ শতাংশ৷ আজ তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে৷ খ্রিস্টান, শিখ, হিন্দুরা আজ অত্যাচারিত৷ নির্মম নির্যাতন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে দিয়েছে৷ এর পরও শান্তির বার্তা দেবে পাকিস্তান? পাকিস্তান কি মেনে নেবে তাঁরা জঙ্গিদের অর্থ বরাদ্দ ও জঙ্গিদের পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 6 =