হায়দ্রাবাদ: পশুচিকিত্সক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা অভিযুক্ত চার জনকে এনকাউন্টারের ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে যার নাম তিনি হলেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার বিসি সজ্জনার৷ তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এই ধরনের এনকাউন্টারের ঘটনায় তার নাম উঠে এসেছে৷
২০০৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বরংগলে দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ওপর এসিড হামলার ঘটনায় এনকাউন্টারে মারা যায় দুই অভিযুক্ত৷ সেই এনকাউন্টারের নেতৃত্বেও ছিলেন সাজ্জনার৷ তবে তখন তিনি এসপি-র পদে ছিলেন৷ এরপর ২০০৯ সালে তারই নেতৃত্বে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় অন্ধ প্রদেশের প্রথম সারির মাওবাদী নেতা সুধাকর রেড্ডির৷
এবারেও তারই নেতৃত্বে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল হায়দ্রাবাদে পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের৷
ঘটনার শুরু থেকেই কমিশনার ডিসি সজ্জনারের নেতৃত্বে তদন্তে দ্রুততা আসে৷ ঘটনার দিন পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল৷ শামসাবাদ থানা নিখোঁজ ডায়েরি নিতে দেরি করেছিল বলেই জানানো হয় মৃত তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে৷ বলাই যায় এরপর কমিশনার সজ্জনের তৎপরতায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ৪ অভিযুক্তকে৷
এর মধ্যেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগে তিন পুলিশকর্মী ওই তিনজন হলেন সাব-ইন্সপেক্টর এম রবি কুমার, হেড কনস্টেবল পি বেণুগোপাল রেড্ডি ও এ সত্যনারায়ণ গৌড়-ক সাসপেন্ড করেতে লেঙ্গানা রাজ্য পুলিশ৷ সজ্জন জানিয়েছিলেন বিভাগীয় তদন্তের পরেই এই তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ নেপথ্যে যাই থাক,এনকাউন্টার এর ঘটনায় হায়দ্রাবাদ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এখন দেশের মানুষ৷
সমালোচনা করেছেন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব৷ বিজেপি সাংসদ মেনকা গান্ধী,বিজেপি নেত্রী শায়লা এনসি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম,দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি শর্মিষ্ঠা মুখার্জি, সমাজকর্মী রেখা শর্মা সহ বেশ কয়েকজন৷ তাঁদের সকলের মতেই এনকাউন্টার প্রক্রিয়ার তদন্ত হওয়া উচিত৷ এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
তবে পুরো দেশ বেশিরভাগ সমর্থন হায়দ্রাবাদ পুলিশের দিকেই৷ অন্তত হায়দ্রাবাদে এখন ‘জননায়ক’হয়ে উঠেছেন কমিশনার বিসি সজ্জনার৷