নয়াদিল্লি: আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি৷ অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন ভিন দেশের চারজন প্রেসিডেন্ট৷ থাকছেন ৩ প্রধানমন্ত্রী৷ থাকছেন বিরোধী থেকে শাসকদলের নেতারাও৷ হাজির থাকছেন মুখ্যমন্ত্রীরাও৷ শপথ ঘিরে বিশাল আয়োজনের মধ্যেই কে হবেন মন্ত্রী? এই নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
নতুন মন্ত্রিসভার নামের তালিকা প্রস্তুত করতে মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ৷ বুধবারও এই নিয়ে ঘণ্টা তিনেক বৈঠক হয়৷ মোদি কথা বলেছেন রাজানাথ সিং আর নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গেও৷ অমিত শাহও কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রামলালের সঙ্গে৷ কিন্তু, কারা কারা মোদির মন্ত্রীসভায় স্থান পাচ্ছেন এই নিয়ো বিজেপির সাংসদের মধ্যেই কানাঘোষা শুরু হয়েছে৷ সেই কানাঘোষার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন খোদ অরুণ জেটলি৷ বুধবারই চিঠি লিখে মন্ত্রিসভায় না থাকার অনুরোধ করেছিলেন অরুণ জেটলি৷ পরে, রাতে মোদি তাঁর সঙ্গেও দেখা করেছেন৷ এখন সব থেকে বড় জল্পনা, অমিত শাহকে নিয়ে৷ তিনি মন্ত্রী হবেন, নাকি দলের দায়িত্বেই থাকবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি৷ স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রকে মুখবদল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এনডিএ শরিক নীতীশ কুমারের জনতা দল, অকালি দলকে এবার জায়গা দিতে হবে৷ ঠাঁই হতে পারে তামিলনাড়ুতে একটি আসনে জেতা এআইএডিএমকেরও৷ বাড়িত প্রধান্য পাবে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিও৷ জানা গিয়েছে, এবার বাংলা থেকে তিনজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে৷ মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সব থেকে বেশি এগিয়ে বাবুল৷ এস এস আলুআলিয়াকে ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া হচে পারে৷ উত্তরবঙ্গ থেকে একজন মন্ত্রী হতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে জন বার্লা, দেবশ্রী চৌধুরী ও জয়ন্ত রায় মধ্যে কাউকে বেছে নিতে পারেন মোদি৷ এছাড়াও সুভাষ সরকার, কুনার হেমব্রম মন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন৷ রাজ্যে মতুথা ভোটব্যাংক ধরে রাখতে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হতে পারে৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে মন্ত্রী করা না হলেও দলের আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে খবর৷