champai soren
কলকাতা: বুধবার রাতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত সোরেন৷ তার ঠিক আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি৷ জল্পনা ছিল, সোরেন গ্রেফতার হলে লালু-রাবড়ি মডেল ফিরবে ঝাড়খণ্ডে৷ সিংহাসনে বসবেন হেমন্ত-পত্নী কল্পনা৷ কিন্তু, তেমনটা হয়নি৷ বরং সে রাজ্যের শাসক শিবির ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার অধিকাংশ বিধায়ক মনোনীত করেন সিমলা সোরেনকে৷ যিনি কিনা ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিত ‘টাইগার’ বলেই পরিচিত৷ কিন্তু, কী তাঁর পরিচয়?
চম্পাই সোরেনের বাবা সিমাল সোরেন ছিলেন সাধারণ এক কৃষক। তাঁরা সরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার জিলিংগোড়া গ্রামের বাসিন্দা৷ সরকারি স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন চম্পাই৷ কর্মজীবনও শুরু হয় কৃষিকাজ দিয়েই৷ পরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তাঁর৷ খুব কম বয়সেই বিয়ে করেন চম্পাই। চার সন্তানও রয়েছে তাঁর।
৯০-এর দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন চম্পাই সোরেন। নব্বইয়ের দশকে ঝাড়খণ্ড আন্দোলনের সময়ে শিবু সরেনের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এই কৃষক-সন্তান। এই আন্দোলনে দাপুটে মেজাজ দেখা গিয়েছিল চম্পাইয়ের৷ তাঁর উগ্র রূপ দেখার পরই তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বাঘ বলতে শুরু করে সে রাজ্যের মানুষ।
এর পর ভোটে জিতে বিধায়ক হন চম্পাই৷ পাকাপাকি ভাবে পা দেন রাজনীতির ময়দানে৷ সরাইকেলা আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি৷ পরে অর্জুন মুণ্ডার নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন চম্পাই সোরেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একাধিক দফতর সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷ এর পর হেমন্ত সোরেনের জমানায় খাদ্য ও পরিবহন দফতরের মন্ত্রী হন চম্পাই। এবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন ঝাড়খণ্ডের সেই ‘টাইগার’।