নয়াদিল্লি: কোনো শক্তিশালী দেশের প্রশাসনিক কাঠামো হোক কিংবা বিজ্ঞান প্রযুক্তি খেলাধুলায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র, ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীরা ছড়িয়ে আছেন সর্বত্রই। দিকে দিকে নিজেদের অসাধারণ কর্ম প্রতিভার দ্বারা যখন তাঁরা সাফল্যের শিখরে পৌঁছোন, তখন এ দেশের বাসিন্দা হিসেবে কিছুটা হলেও গর্ব হয় ভারতবাসীর। ১৩৯ কোটি জনগণের তেমনি এক গর্বের নাম অরোরা আকাঙ্ক্ষা।
আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের (United Nations Organization) পরবর্তী সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী অরোরা আকাঙ্ক্ষা। তিনি রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক সংস্কার সংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনোনয়নের সংবাদ প্রকাশ করেছেন বছর ৩৪-এর এই তরুণী। সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে অরোরা আকাঙ্ক্ষার এই সাফল্য প্রাপ্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যান্টোনিও গাটার্স। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁর ৫ বছরের কর্ম মেয়াদ শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় বারের জন্যে তিনিও ফের মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা আকাঙ্ক্ষা তাঁকে পরাজিত করতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
কীভাবে সাফল্য পেলেন অরোরা? জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের প্রচারের হাতিয়ার বানিয়েছেন এই তরুণী। UNOW নামের এক প্রচারাভিযান শুরু করেছেন তিনি যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টিকটক এবং ট্যুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনীত হন ওই সংস্থার সদস্যদের দ্বারাই, তবু অরোরা আকাঙ্ক্ষা স্বাধীন ভাবে তাঁর প্রচারকার্য চালিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে মনোনয়নের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার বিভাগে তাঁর বর্তমান পদটি কিন্তু ছাড়তে নারাজ অরোরা আকাঙ্ক্ষা। তাঁর কথায়, “জেনারেল সেক্রেটারিরা যখন তাঁদের পদে দ্বিতীয়বার মনোনয়নের জন্য দাঁড়ান, তখন নিজেদের আগের পদ তাঁরা ছাড়েন না। এটা অন্যান্য কর্মীদের জন্যেও প্রযুক্ত হওয়া প্রয়োজন।” বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের আরো ভালো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।