নয়াদিল্লি: করোনাকাল হোক কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি প্রত্যেক শিশুর কাছে পোলিও পৌঁছে দেওয়া। ভারতের লক্ষ লক্ষ আশাকর্মীরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই তাঁদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য অবিচল। আর তাই এবার ভারতের কয়েকটি লক্ষ্য আশাকর্মীকে গ্লোবাল হেলথ লিডারের সম্মান দিয়ে বিশ্ব দরবারে তাঁদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু। হুয়ের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে একটি টুইটে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘করোনাকালে ভারতের আশাকর্মীরা যেভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এবং যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের কর্তব্য অবিচল থেকেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ সেবাকে সম্মান জানাতে ভারতের আশাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেলথ লিডারের সম্মান।’
উল্লেখ্য, করোনাকালে যখন দেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে বেঁচে থাকাটাই হয়ে উঠেছিল সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ঠিক তখনই দেশবাসীর সেবায় নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্মীদের মতো আশাকর্মীরাও। করোনার কোপে দেশের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো বহু আশাকর্মীর জীবনও শেষ হয়েছে এক লহমায়। কিন্তু তারপরেও তাঁরা নিজেদের পরিবার পরিজন ছেড়ে সমস্ত কিছু ভুলে নিয়োজিত হয়েছিলেন দেশবাসীর সেবার। করোনার হাত থেকে বাঁচতে যখন গোটা দেশ গৃহবন্দি তখন ঘর ছেড়েছিলেন আশাকর্মীরা। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা এই কঠিন সময়, বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। তাঁদের এই আপামর চেষ্টা এবং নিঃস্বার্থ সেবাকে এবার স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব দরবারে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রইল ভারতের লক্ষ্য লক্ষ্য আশাকর্মীর নাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে আশাকর্মীদের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এর খবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন জাপান শহরে, কিন্তু সেখান থেকেই টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আশাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে আমাদের আশাকর্মীদের লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের আশাকর্মীরা যেভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তা প্রশংসা করার মত ভাষা খুজে পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাঁদের এই লড়াইকে স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গর্বের। আমার দেশের লক্ষাধিক আশা কর্মীদের আমার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।’