লাগামছাড়া সংক্রমণ, করোনার ভারতীয় স্ট্রেন নিয়ে সংশয় প্রকাশ WHO-র

লাগামছাড়া সংক্রমণ, করোনার ভারতীয় স্ট্রেন নিয়ে সংশয় প্রকাশ WHO-র

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দিন প্রতি মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কা বাড়িয়েছে সকলের মনে। যদিও আশঙ্কা শুধু দেশবাসীর হচ্ছে তা নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ভারতের নতুন করোনাভাইরাস স্ট্রেন। ভারতের এই নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতির নিয়ে উদ্বেগজনক পর্যবেক্ষণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই তাদের অনুমান, ভারতের এই নতুন প্রজাতি গোটা বিশ্বের পক্ষে বিপজ্জনক। সেই প্রেক্ষিতে ভারতের এই নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

অনুমান করা হচ্ছে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস স্ট্রেনের জন্যই ভারতে এত মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবথেকে আশংকার ব্যাপার যে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। এককথায় ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও এই ভাইরাস থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তাই ভারতের এই প্রজাতিকে গোটা বিশ্বের কাছে বিপজ্জনক আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা ভারতের এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসকে অতি সংক্রামক আখ্যা দিচ্ছেন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে ভারতের এই করোনাভাইরাস প্রজাতি সম্পর্কে তারা আরো বিশদ ভাবে জানতে চায়। সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয় এই প্রজাতিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদের তালিকায় রেখেছে।

করোনার এই নতুন প্রকারভেদটির নাম ‘বি১৬১৭’। ভাইরাসের এই বিশেষ প্রজাতিটির খোঁজ প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ভারতেই। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার তিনটি প্রজাতিকে ‘গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’ ভাইরাসের তালিকায় রেখেছিল। সেগুলি হল ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া প্রজাতি। এবার এর সঙ্গে নাম জুড়ল ভারতেরও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান হচ্ছে, এই ভাইরাসটি আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রতিরোধী। এই প্রজাতিটির জিনগত চরিত্রের বদল থেকে শুরু করে বংশগতি সব কিছু জানা দরকার। ভারতের জন্যই গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এতটা বেড়ে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *