নয়াদিল্লি: ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে আজ সোমবার ২৫ জুলাই সকালে শপথগ্রহণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। গত ২১ জুলাই বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়ে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মুর্মু। এদিকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের। সোমবার নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু শপথ গ্রহণ করার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে দেন রামনাথ। আর রাইসিনা হিলস নয়, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দের বর্তমান ঠিকানা দিল্লির ১২ জনপথ রোডের বাংলো। বিদায়ী রাষ্ট্রপতির প্রতিবেশী হলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কারণ ১০ জনপথের বাংলোর বাসিন্দাই সোনিয়া।
অন্যদিকে, আজ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই দ্রৌপদী মুর্মুর নতুন ঠিকানা রাইসিনা হিলস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী পাঁচ বছর এটিই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যকাল শেষ হলে তাঁকেও একইভাবে ত্যাগ করতে হবে রাইসিনা হিলস এবং তখন তিনিও জনপথের বাংলোরই বাসিন্দা হবেন।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে আজ থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তার স্ত্রী যে ১২ জনপথ রোডের বাংলাতে বসবাস শুরু করছেন সেই বাংলোটি প্রায় তিন দশক ধরে প্রয়াত মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দখলে ছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরে মন্ত্রীর মৃত্যুর পর পাসোয়ান পরিবারকে ওই বাংলা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ১২ জনপথের এই বাংলো নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র পবন পাসোয়ানের অভিযোগ ছিল, কার্যত বড়পূর্বক কেন্দ্র তাঁদের এই বাংলো থেকে উৎখাত করেছে। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে সেই সময় বলা হয় পাসোয়ান পরিবারকে বারবার বলার পরেও তাঁরা বাংলো ছাড়তে রাজি হয়নি। ১২ জনপথের এই বিতর্কিত বাংলোই আজ থেকে কোবিন্দের স্থায়ী ঠিকানা। বাংলোটি গৃহায়ন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে।