কবে শুরু হবে রাম নবমীর নির্মাণের কাজ? ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

লখনউ: অযোধ্যার রায় ঘোষণার পর থেকেই রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রবল উৎসাহ দেখা দিয়েছে দেশবাসীর মধ্যে৷ নির্মাণের কাজ কবে শুরু হচ্ছে? মন্দিরের দেখতে কেমন হবে? এমন প্রতিটি বিষয় নিয়ে চরম উৎসাহ৷ এরই মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমারের বিস্ময়কর দাবি যে বহুদিন আগে থেকেই রামমন্দির তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে পরিষদের তরফ থেকে৷

কবে শুরু হবে রাম নবমীর নির্মাণের কাজ? ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

লখনউ: অযোধ্যার রায় ঘোষণার পর থেকেই রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রবল উৎসাহ দেখা দিয়েছে দেশবাসীর মধ্যে৷ নির্মাণের কাজ কবে শুরু হচ্ছে? মন্দিরের দেখতে কেমন হবে? এমন প্রতিটি বিষয় নিয়ে চরম উৎসাহ৷

এরই মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমারের বিস্ময়কর দাবি যে বহুদিন আগে থেকেই রামমন্দির তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে পরিষদের তরফ থেকে৷ মন্দির নির্মাণের জন্য যে খোদাই করা পাথর এবং স্তম্ভ কাজে লাগানো হবে সেগুলি তৈরীর কাজও ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়ে আছে৷ মন্দির তৈরি করতে ১.৭৫ লক্ষ কিউব ফুট পাথর প্রয়োজন৷ সেখানে ১.২৫ লক্ষ কিউবিক ফুট পাথর খোদাই হয়ে গেছে অযোধ্যায় তাদের কারসেবকপুরমের ওয়ার্কশপে৷

সোমপুরা মন্দিরের আদলে মন্দিরের একটি মডেল রাখা আছে সেখানে৷ সেই মডেল অনুযায়ী কাজ চলছে৷ সেক্ষেত্রে সামনের বছর একেবারে রামনবমী-র দিনই রামমন্দির র্নির্মাণের কাজ শুরু হোক এবং এই বিশেষ দিনটিই কাজ শুরু করার জন্য আদর্শ বলেও দাবি করেন অলোক কুমার৷ রীতিমতো দিনক্ষণ হিসেব করেই তিনি বলেন৷ আগামী তিন মাসের মধ্যে রামমন্দির তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ সেইমত ২০২০-র ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই ট্রাস্ট গঠনের কাজ শেষ করবে সরকার৷ পরিষদের এই বর্ষীয়ান নেতার দাবি৷ জানুয়ারি-তে মকর সংক্রান্তির দিন মন্দির নির্মাণ পূর্ববর্তী কাজ শুরু হবে৷

সেক্ষেত্রে মন্দিরের নতুন করে শিলান্যাস করার কোনো প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তিনি৷ কারণ ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসেই তা করা হয়েছিল৷ সেইসময় ভিএইচপি-র প্রাক্তন প্রধান অশোক সিংঘলের অনুরোধে প্রখ্যাত মন্দির স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরা, রামমন্দিররে জন্য একটি মডেল তৈরি করেন যা ভক্তমহলে সারা ফেলে দিয়েছিল৷ সেই আদলেই মন্দির তৈরি হোক এমনটাই আশা করছে পরিষদ৷ এছাড়াও এই নেতার আরও দাবি, সরকারি ট্রাস্টের সদস্যদের মধ্যে রাম জন্মভূমি ন্যাস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের’ সদস্যদেরও নেওয়া হোক৷ যারা মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতির সঙ্গে এতদিন ধরে যুক্ত৷

অলোক কুমার আরও জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি ‘মার্গ দর্শক মন্ডলের’ একটি বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা আছে ভিএইচপি-র যারা মন্দির নির্মাণ এবং তহবিল গঠনের বিষয়ে কাজ শুরু করবে৷ এরপর এমাসের মধ্যেই রাজস্থান ও অযোধ্যার কারিগরেরা পুরোদমে কাজ শুরু করবে৷ এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করে ভিএইচপি নেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আন্তরিকতার সঙ্গে মন্দির নির্মাণের আনুসাঙ্গিক পরিকাঠামোগত কাজে সাহায্য করবেন৷ যেমন অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা, রাস্তা সম্প্রসারণের মত কাজগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজন৷

সূত্রের খবর মন্দির নির্মাণ করতে চারবছর সময় লাগবে৷ আর আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ৷ সুতরাং এর মধ্যেই পুরো কল্পনা বাস্তবায়িত করতে চাইবে গেরুয়া শিবির৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *