দেশের নাম ‘ভারত’ হলে সকলের পরিচয়পত্রেও বদল? টাকা, নথিগুলির কী হবে

দেশের নাম ‘ভারত’ হলে সকলের পরিচয়পত্রেও বদল? টাকা, নথিগুলির কী হবে

নয়াদিল্লি: চলতি মাসেই সংসদ বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে। কী নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে তার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত একেক বিষয়ের কথা মাথায় এলেও এখন একটি বিষয় নিয়েই ভাবনা বেড়েছে সকলের। ‘ইন্ডিয়া’ না ‘ভারত’? দেশের নাম বদলের ইঙ্গিত মিলেছে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পত্র থেকে শুরু করে বিজেপি তরফে প্রকাশ করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিচয় লিপিতে। অনেকে ধরেই নিয়েছেন যে দেশের নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব আনতে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার প্রভাব কতদূর বা কীসে পড়বে, তা কেউ ভেবে দেখেননি বোধহয়। 

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির পাঠানো জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতিকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ইন্দোনেশিয়া সফরের ঘোষণা সংক্রান্ত একটি সরকারি নথিতে মোদীর পদ লেখা হয়েছে, ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু। তাহলে কি নাম বদলানো হচ্ছে দেশের? আর এর থেকেও বড় প্রশ্ন, নাম বদলানো হলে সাধারণ মানুষ কতটা নাজেহাল হবেন? উত্তর একদম পরিষ্কার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি সত্যিই দেশের নামে বদল আসে এবং সেটাই একমাত্র নিয়ম হয়ে যায়, তাহলে আমজনতাকে বিরাট টালমাটাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু কেন? 

আসলে দেশের নাম যদি ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হয়ে যায় তাহলে পাসপোর্ট থেকে শুরু করে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডে দেশের নামের বদল হবে। পরিবর্তন হতে পারে সমস্ত প্রতিষ্ঠানেরও নামও। ছোট্ট উদাহরণ দিলে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সবার নাম বদলাবে। এছাড়া সমস্ত টাকা বা পয়সায় যে ‘ইন্ডিয়া’ নাম আছে, তার বদলও ঘটবে। এতএব, আবার মানুষকে হয়তো লাইনে দাঁড়িয়ে এইসব নথি বদল করাতে হবে, টাকা ব্যাঙ্কে ফেলতে হবে, ফিরে আসতে পারে সেই নোটবন্দির স্মৃতি। অন্যভাবে দেখতে গেলে, সমস্ত নোট পরিবর্তন করতে গেলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। ১৪০ কোটি নাগরিকের পরিচয়পত্র পরিবর্তনও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ও খরচসাপেক্ষ বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *