ল্যান্ডিং করবে ‘বিক্রম’, তারপর বেরিয়ে আসবে ‘প্রজ্ঞান’! চাঁদে মূলত কী কাজ

ল্যান্ডিং করবে ‘বিক্রম’, তারপর বেরিয়ে আসবে ‘প্রজ্ঞান’! চাঁদে মূলত কী কাজ

নয়াদিল্লি: কিছু বছর আগের কথা। চন্দ্রযান ২ মূল লক্ষ্যে সফল হতে পারেনি। অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ল্যান্ডিং ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু চন্দ্রযান ৩ নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইনি ইসরো। প্রথম থেকেই অত্যন্ত সতর্ক হয়ে এই অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার এর অবতরণের পর ইতিহাসের পাতায় চলে যাবে ভারত। তবে এবার প্রশ্ন, চাঁদে নামার পর চন্দ্রযানের মূল কাজ কী হবে। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে নেমে ঠিক কোন কাজ করবে, তা জানিয়েছে ইসরো।  

চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় রীতিমতো চ্যালেঞ্জের৷ এখনও পর্যন্ত কোনও দেশ চাঁদের এই অংশে অবতীর্ণ হতে পারেনি। চন্দ্রযান ৩ পেরে গেল মানে সেটাই ইতিহাস। এবার জানা যাক, চাঁদের মাটিতে নেমে কী কাজ করবে চন্দ্রযান ৩। প্রথমত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে চন্দ্রযান-৩ গবেষণার জন্য নানা তথ্য সংগ্রহ করবে ১৪ দিন ধরে। মূলত দক্ষিণ মেরুতে জল আছে কি না, বা সেই জায়গা মানুষের বসবাসের যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযান ৩। এছাড়া চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, কোন কোন উপাদান দিয়ে চাঁদের মাটি তৈরি, তা খতিয়ে দেখা হবে। 

ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর খুলে দেবে তার দরজা। সেই দরজা দিয়ে ঢালু পথে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এরপর সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘুরে বেরিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। জানা গিয়েছে, এই রোভারের সঙ্গে থাকবে একাধিক দিকনির্দেশক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। প্রজ্ঞান চাঁদ থেকে যা যা তথ্যসংগ্রহ করবে, তার সব কিছুই পাঠিয়ে দেবে ল্যান্ডার বিক্রমে। সেখান থেকে তা চলে আসবে ইসরোর কাছে। এছাড়া প্রজ্ঞানের আরও বড় কাজ হল, চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং ইসরোর লোগো এঁকে দেওয়া। 

ইসরো এটাও জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। কারণ সেখানে জমি খুবই অমসৃণ। বড় বড় গর্ত, খাদ, সবই আছে। তাই চাঁদের মাটিতে লেজার রশ্মি ফেলে সেন্সরের মাধ্যমে অবতরণের জন্য উপযুক্ত ভূমি খুঁজবে বিক্রম। কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক ধাপে তাকে ধীরে ধীরে নামানো হবে চাঁদের মাটিতে। কোনও জায়গায় যাতে কোনও রকম ত্রুটি না হয়, সেই চেষ্টাই করছে তারা। তাই কোনও ভাবেই তাড়াহুড়ো করা হবে না, বা ঝুঁকি নেওয়া হবে না। মঙ্গলবারই চাঁদের ছবি তুলেছে চন্দ্রযানের ‘ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা’। এই ছবিগুলি থেকে চাঁদের গায়ের বড় বড় গর্ত, দাগ দেখা গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *