নয়াদিল্লি: দলকে ঢেলে সাজাতে ডাকা হয়েছিল বৈঠক৷ ৪০০ বেশি নেতাকে ডেকে করা হয়েছিল বৈঠক৷ সভাপতি নির্বাচন করে দলের শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটার আওয়াজও তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী৷ জানিয়ে দিয়েছেন, মা সোনিয়া, বোন প্রিয়াঙ্কা ও তিনি এই পদের নির্বাচনে অংশ নেবেন না৷ পরিবারের কাউকে সভাপতি নির্বাচনের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন৷ গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি বাছতে ঢাকঢোল পিয়েছে বৈঠক ডাকা হলেও শনিবার দিনভর আলোচনার হল ব্যর্থ৷ রাত ১১টা নাগাদ সনিয়া গান্ধীর হাতে কংগ্রেসের ব্যটন তুলে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদে আপাতত নির্বাচিত করা হয়৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, শতাব্দী প্রাচীন এই দলে গান্ধী পরিবারের বাইরে এমন এক জন নেতাও নেই, যে দলের ব্যটন ধরার যোগ্য৷ কেন নতুন মুখ খুঁজতে ব্যর্থ দল? ওয়ার্কিং কমিটির কি শুধুই পরিবার নির্ভরশীল? একজন নেতা নির্বাচনে এত কেন বিড়ম্বনা৷ নাকি, গান্ধী পরিবারের বাইরে দলের ব্যটন চলে গেলে পরিবারিক গুরুত্ব হারানোর ভয়৷ আর এই ভয় যদি নাই থাকত তাহলে ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাব ফেরালেন না কেন সোনিয়া? কংগ্রেসে ব্যটন ধরতে গিয়ে দলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করলেন না তো সোনিয়া?
সোনিয়া চেয়ারে ফিরতেই আজই রাহুল গান্ধীর ইস্তফা গ্রহণ করেছে ওয়ার্কিং কমিটির৷ লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল৷ গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার ফাঁক আওয়াজ উঠলেও তা কার্যত ভেস্তে গেল৷ এই নিয়ে ফের কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে গান্ধী পরিবারকেই৷ বিজেপির কটাক্ষ, গান্ধী পরিবার ছাড়া আর কিছুই কেন ভাবতে পারে না কংগ্রেস?