নয়াদিল্লি: ঝুলেই রইল সবরীমালা মামলা৷ ভিন্ন মতের কারণে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ থেকে সবরীমালা মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে৷ তবে, মামলার নিস্পত্তি না হলেও আগের রায় বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত৷
সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা আবেদনের ভিত্তিতে আজ দেশের শীর্ষ আদালতে রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল৷ আদালত সূত্রে খবর, পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি ভিন্ন মত দেওয়ায় মামলাটি বৃহত্তর ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
The September 28, 2018 judgement of the Supreme Court – which had lifted the ban that prevented women and girls between the age of 10 to 50 from entering the #Sabarimala Temple – was not stayed by the apex court today. pic.twitter.com/FyW0Zzku4F
— ANI (@ANI) November 14, 2019
আজ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে সবরীমালা মামলা রায় ঘোষণা করা করার কথা ছিল৷ কিন্তু, সহমত না হওয়ায় মামলাটি সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে৷ তবে, ওই বেঞ্চের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকার বজায় থাকবে৷
Supreme Court, by a majority of 3:2, has referred the review petitions to a larger constitution bench. Justice Rohinton Fali Nariman and Justice DY Chandrachud gave dissent judgement. #Sabarimala https://t.co/xBcxf6bFeV
— ANI (@ANI) November 14, 2019
কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল বয়স যাদের ১০ বছরের কম ও ৫০ বছরের উর্ধ্বে শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রথা তুলে দিয়ে সব মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার অনুমতি দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত৷ কেরল সরকাররায়কে সমর্থন করে জানায়, কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা আচরণে মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হলে আদালত যেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন এই মামলার রায়ের পক্ষে ছিলে৷ তারাও রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুধুমাত্র ঋতুমতী হওয়ার কারণে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার অর্থ মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের শামিল এবং অসাংবিধানিক৷
#SabarimalaTemple review petitions in Supreme Court:
Chief Justice of India, said, “the entry of women into places of worship is not limited to this temple, it is involved in the entry of women into mosques and Parsi temples.” https://t.co/ha1jh4JPxl— ANI (@ANI) November 14, 2019
২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে ত্রিবাঙ্কুর ট্রাস্ট৷ তাদের দাবি ছিল, সাধারণ মানুষের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা বা বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই শীর্ষ আদালতের৷ এই রায় পুনর্বিবেচনা করুক৷ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার শুনানি হয় আসছে৷ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর গত ১৮ মে রায় ঘোষণা করা হয়৷