ঋতুমতীদের পুজোর অধিকার মামলায় কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

নয়াদিল্লি: ঝুলেই রইল সবরীমালা মামলা৷ ভিন্ন মতের কারণে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ থেকে সবরীমালা মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে৷ তবে, মামলার নিস্পত্তি না হলেও আগের রায় বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা আবেদনের ভিত্তিতে আজ দেশের শীর্ষ আদালতে রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল৷ আদালত

ঋতুমতীদের পুজোর অধিকার মামলায় কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

নয়াদিল্লি: ঝুলেই রইল সবরীমালা মামলা৷ ভিন্ন মতের কারণে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ থেকে সবরীমালা মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে৷ তবে, মামলার নিস্পত্তি না হলেও আগের রায় বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত৷

সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা আবেদনের ভিত্তিতে আজ দেশের শীর্ষ আদালতে রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল৷ আদালত সূত্রে খবর, পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিন বিচারপতি ভিন্ন মত দেওয়ায় মামলাটি বৃহত্তর ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

আজ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে সবরীমালা মামলা রায় ঘোষণা করা করার কথা ছিল৷ কিন্তু, সহমত না হওয়ায় মামলাটি সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে৷ তবে, ওই বেঞ্চের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকার বজায় থাকবে৷

কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল বয়স যাদের ১০ বছরের কম ও ৫০ বছরের উর্ধ্বে শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রথা তুলে দিয়ে সব মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার অনুমতি দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত৷ কেরল সরকাররায়কে সমর্থন করে জানায়, কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা আচরণে মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হলে আদালত যেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন এই মামলার রায়ের পক্ষে ছিলে৷ তারাও রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুধুমাত্র ঋতুমতী হওয়ার কারণে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার অর্থ মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের শামিল এবং অসাংবিধানিক৷

২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে ত্রিবাঙ্কুর ট্রাস্ট৷ তাদের দাবি ছিল, সাধারণ মানুষের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা বা বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই শীর্ষ আদালতের৷ এই রায় পুনর্বিবেচনা করুক৷ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার শুনানি হয় আসছে৷ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর গত ১৮ মে রায় ঘোষণা করা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *