মৃত্যুর আগে কুলভূষণকে নিয়ে কী বলেছিলেন সুষমা?

নয়াদিল্লি: গোটা দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষ ছিলেন তিনি৷ দলমত নির্বিশেষে সুষমা স্বরাজ ছিলেন কাছের মানুষ৷ রঙ না দেখে একধিক ইস্যুতে পদক্ষেপও নিয়েছিলেন৷ কিন্ত, সুষমার হঠাৎ প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশ৷ কিন্তু, জানেন? মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর মুখে ছিল কুলভূষণ মামলা প্রসঙ্গ৷ জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘণ্টাখানিক আগে কুলভূষণ মামলার আইনজীবী হরিশ সালভেকের সঙ্গে

মৃত্যুর আগে কুলভূষণকে নিয়ে কী বলেছিলেন সুষমা?

নয়াদিল্লি: গোটা দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষ ছিলেন তিনি৷ দলমত নির্বিশেষে সুষমা স্বরাজ ছিলেন কাছের মানুষ৷ রঙ না দেখে একধিক ইস্যুতে পদক্ষেপও নিয়েছিলেন৷ কিন্ত, সুষমার হঠাৎ প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশ৷ কিন্তু, জানেন? মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর মুখে ছিল কুলভূষণ মামলা প্রসঙ্গ৷

জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘণ্টাখানিক আগে কুলভূষণ মামলার আইনজীবী হরিশ সালভেকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর৷ ফেন সুষমা আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন, আজ বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে কুলভূষণের হয়ে মামলা লড়ার এক টাকা ফি নিয়ে যেতে৷ আজ, তিনি সুষমার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন হরিশ৷ কিন্তু, কথা রাখলেন না সুষমা৷ দেখা করার আগেই বিদায় নিলেন সুষমা৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা হলেও হন দেখা৷ সুষমার প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়ে এমনই জানিয়েছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে৷

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে কুলভূষণ যাদব মামলার আইনজীবী হরিশ সালভে ফি বাবদ নিচ্ছেন এক টাকার বিনিময়ে মামলা লড়ছেন৷ তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টায় সুষমার সঙ্গে সঙ্গে করার কথা ছিল তাঁর৷

সুষমার মৃত্যুর পর গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে শোক বার্তা৷ দক্ষ নেত্রী, সুবক্তা ও জনগণের মন্ত্রী বলে বর্ণনা করেছে বিদেশমন্ত্রক৷ মদনলাল খুরানা ও শীলা দীক্ষিতের পর এক বছরের মধ্যেই দিল্লির তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যু হল৷ সুষমা ছিলেন দিল্লির প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী৷

মাত্র ২৩ বছর বয়সে সংসদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি সুষমার৷ ১৯৮৪ সালে যোগ দেন বিজেপিতে৷ লালকৃষ্ণ আদবানির স্বপ্নের দলের ছিলেন তিনি৷ ১৯৯০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হন সুষমা৷ ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন লোকসভায় পা রাখেন৷ ২০১৪ সালে মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন৷ বিদেশমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল অপারেশন নীর৷ চিনকে টপকে মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + eleven =