পুরী: বিলি শুরু হলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই। অল্পবিস্তর যা মিলছে তার মানও অত্যন্ত খারাপ। গতি পাচ্ছে না পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজ। বিদ্যুৎ নেই। পানীয় জল নেই। বন্ধ ইন্টারনেট ও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। ফলে নগদেও টান। ফনির তাণ্ডবের চারদিন পরেও পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিংপুর সহ একাধিক শহর ও গ্রামে শুধুই হাহাকার।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজ্য। এমন অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ওড়িশা। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে সাহায্য আসতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নিজেই এক বছরের বেতন ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ত্রাণ তহবিলে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকা দান করেছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারও।
মঙ্গলবার প্রথম ফনি-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বণ্টনের কাজ শুরু হয়। বিলি-বণ্টন হচ্ছে চাল, ডাল, টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী। আর তাকে ঘিরেই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে দুর্গত এলাকায়। পুরীর পেন্থককাঁটা জেলেদের মহল্লা বলে পরিচিত। ঝড়ে প্রায় ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে এখানকার ঘর বাড়ি। এদিন ত্রাণ পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের চাল হাতে নিয়ে ঝাঁঝিয়ে উঠলেন এক বাসিন্দা। বললেন, ‘এটা চাল! এসব কুকুরেও ছোঁবে না! ভেজা ও পচা গন্ধের চাল মানুষ খাবে কী করে?’