এখনও কাটেনি উদ্বেগ! দেশের মোট সক্রিয় করোনা রিপোর্টে এগিয়ে বাংলা!

এখনও কাটেনি উদ্বেগ! দেশের মোট সক্রিয় করোনা রিপোর্টে এগিয়ে বাংলা!

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। দিন যতই এগোচ্ছে, মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কবে টিকা আসবে, তারই অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। তবে টিকা নিয়ে ভারতের প্রস্তুতি পর্ব চরমে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বিজ্ঞানীদের সবুজ সঙ্কেত পেলেই তা বিতরণ করা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে তারপরেও দেশে হু হু বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের ৫৪ শতাংশই হচ্ছে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির বাসিন্দা।

এদিন করোনা নিয়ে আশারবাণী শোনান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ৬টি করোনার টিকার নমুনা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্টেজে রয়েছে। এছাড়াও অরবিন্দ ফার্মার গবেষণার তিনটি টিকা রয়েছে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘৬টি করোনার টিকার নমুনা ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে। তিনটি রয়েছে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে। আগামী কয়েক সপ্তাহে তাদের মধ্যে কয়েকটি ছাড়পত্র পেতে পারে, তবে এই সময়ে আমরা কিছু বলতে চাই না। তার কারণ, লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার হাতে। তাঁর কথায়, ‘‘এই টিকাগুলি দুই থেকে তিনটি ডোজের। এমনকী, ভ্যাকসিন নেওয়ার বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।’’

প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কোভিশিল্ড, সেটি তৈরি হচ্ছে শিপাঞ্জী অ্যাডিনোভাইরাস প্লাটফর্ম এবং পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে অ্যাসট্রেঞ্জিকা। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘এই টিকাগুলি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে, তারা জরুরি পরিষেবার জন্য অনুমোদন চেয়েছে।’’  অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিন রয়েছে ইনঅ্যাক্টিভ ভাইরাস প্লাটফর্মে। স্বাস্থ্যসচিব জানান, ‘‘এটি তৈরি করছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। এই ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। তারাও জরুরি পরিষেবার জন্য ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।’’

অন্যদিকে, ডিএনএ এর ওপর তৈরি হচ্ছে ZyCoV-D, এটি তৈরি করছে আহমেদাবাদের ক্যাডিলা হেল্থকেয়ার লিমিটেড। এটির দায়িত্বে রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি। এটিও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানান, চতুর্থ টিকাটি হিউম্যান অ্যাডিনোভাইরাস প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। হায়দরাবাদের ডঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরিতে  তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে রাশিয়ার জামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার। এটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াাল শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। আরও বেশকয়েকটি ভ্যাকসিনের বিভিন্ন ট্রায়াল চলছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। বিজ্ঞানীদের সবুজ সঙ্কেত পেলেই সেগুলি ব্যাপক হারে তৈরির কাজ শুরু হবে এবং তা দ্রুত বিতরণ করা শুরু হবে বলে জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × three =