নয়াদিল্লি: গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মীরা নন, এবার বাইরে বেরুলে সকলকেই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করে দেশবাসীকে এমনই পরামর্শ দিয়েছে।
এর আগে করোনা প্রতিরোধে ‘হু’ এর গাইড লাইন মেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, যাঁদের সর্দি, কাশি, জ্বর হয়েছে, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাঁরা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরই মাস্ক পরার প্রয়োজন। যাঁরা সুস্থ, তাঁদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু, দু’দিন আগে আমেরিকার গবেষকরা সে দেশের সরকারকে জানায়, শুধু হাঁচি বা কাশি থেকে নয়, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস এমনকী কথা বললেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। এরপরই শুক্রবার আমেরিকায় সকলের জন্য মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকা জারি করা হয়। আর তার পর থেকেই একের পর এক দেশ মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকার পরিবর্তন আনে।
ভারত সরকারও সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশিকায় বদল আনল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘যাঁরা সুস্থ আথবা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন না, তাঁরাও বাইরে বেরনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। এটা গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করবে।’
কিন্তু এই নির্দেশিকার আগে থেকেই বাজারে মাস্কের চাহিদার থেকে যোগান কম ছিল। এমনকি মাস্কের কালোবাজারির অভিযোগও ওঠেছে গোটা দেশে। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মাস্কের দাম নির্ধারিত করে দেয়। বিভিন্ন রাজ্যে কালোবাজারি রুখতে অভিযানও চালায় প্রশাসন। তারপরেও বাজারে মাস্কের আকাল। তাই এই পরিস্থিতিতে বাজারে মাস্ক-না পাওয়া গেলে কি করতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশিকায় স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে, ‘ঘরে তৈরি অথবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।’
অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে রুমাল বা স্কার্ফকে মাস্কের মতো করে ব্যবহার করা যেতেই পারে, এমনই বুঝিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তব একটি মাস্ক একজনকেই পরতে হবে, একটি পরিবারে অনেক সদস্য থাকলেও, তাঁদের প্রত্যেকে যেন আলাদা আলাদা মাস্ক ব্যবহার করেন তাও সাফ জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে এই ধরনের মাস্ক কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বা করোনা আক্রান্ত রোগীরা ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।