নয়াদিল্লি: ফের মাস্ক পরা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের৷ ভোটের প্রচারে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করতে একসঙ্গে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দেশজুড়ে বর্ধিত করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দিল আদালত। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, এমনিতেই প্রচারে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সেই গাইডলাইন মানছেন না প্রচার বা মিছিলে যোগ দেওয়া মানুষজন। তাই বাধ্য হয়ে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হল। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট৷
দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজি সিং৷ তিনি সেন্টার ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড সিস্টেমেটিক চেঞ্জের চেয়ারম্যান পদেও আসীন৷ বৃহস্পতিবার তাঁর করা মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপিত জশমীত সিংয়ের বেঞ্চে৷ সেই শুনানিতেই কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়৷ মামলাকারীর হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী বিরাগ গুপ্তা৷ এদিন আদালতে তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে চলা হয়, সেই বিষয়ে ডিজিটাল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷
পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, যখন সব কর্তৃপক্ষই মাস্ক পরার বিষয়ে একমত, তখন নির্বাচনী প্রচারে সেই নিয়ম মানা হবে না কেন? মামলাকারীর তরফে করা মূল আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে যাঁরা করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বারবার ভাঙছেন, তাঁদের প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক৷ এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দিল্লির উচ্চ আদালতের তরফে কেন্দ্র ও কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নির্বাচনী প্রচারে যাতে সবাই মাস্ক ব্যবহার করে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে৷ এই নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে৷ অবশ্য ততদিনে বাংলায় ভোটপর্ব পর্ব সম্পন্ন মিটে যাবে।