নয়াদিল্লি: করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ দেশের লাইফলাইন৷ ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হল রেল পরিষেবা৷ মঙ্গলবার রেলের তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হয়, ‘‘এর আগে কোনও দিন রেলওয়ে পরিষেবা বন্ধ হয়নি৷ এমনকী যুদ্ধের সময়েও নয়৷ এই কঠিন পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝুন৷ সুস্থ থাকতে বাড়িতে থাকুন৷’’
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেলওয়ে পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে৷ তবে কোনও স্টপেজ দেওয়া হবে না ট্রেনগুলিতে৷ এদিকে করোনার ধাক্কায় বাতিল করা হয়েছে, ১২,৫০০ টি ট্রেন৷ বন্ধ রয়েছে মেট্রো পরিষেবাও৷ রেলের তরফ থেকে টিকিট বাতিলের নিয়মও শিথিল করা হয়েছে। জানানো হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের পুরো অর্থ ফেরত দেওয়া হবে যাত্রীদের৷
গত রবিবার সারা দেশে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সোমবার ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখনও কিছু মানুষ লকডাউনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন না৷ দয়া করে সকারের নির্দেশ মেনে চলুন৷ নিজেকে বাঁচান, নিজের পরিবারকে বাঁচান৷ প্রতিটি রাজ্য সরকারের অনুরোধ, নির্ধারিত নিয়ম-কানুন মেনে চলুন৷’’ গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতা কার্ফু ছিল এক কথায় সফল৷ দেশের ব্যস্ততম শহরগুলির রাস্তাঘাট, হাইওয়ে ছিল একেবারে শুনসান৷ একাকী দাঁড়িয়ে ছিল কংক্রিটের জঙ্গল৷ তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ছবি৷ বেশ কিছু মানুষ কার্ফু লঙ্ঘন করেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়৷
এর পরই সোমবার বিকেল থেকে লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাবে জারি করা হয় কার্ফু৷ এদিকে, সীমান্ত পেরিয়ে রাজধানীতে ঢোকার জন্য ‘কার্ফু পাস’ লাগবে বলে ঘোষণা করেছে দিল্লি পুলিশ৷ তবে এই পাস কেবলমাত্র আন্ত-সীমান্তে চলাফেরার জন্যই লাগু করা হয়েছে৷ রাজধানীর অন্দরে বসবাসকারীদের জন্য এই পাস প্রযোজ্য নয় বলেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ