নয়াদিল্লি: করোনার প্রতিষেধক নিয়ে যখন গোটা বিশ্বে জল্পনা শুরু হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চও (আইসিএমআর)। করোনার চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সংস্থাকে গঙ্গা জল ব্যবহার করা যায় কি না, সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানালেন জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
করোনা চিকিৎসায় গঙ্গাজল ব্যবহারের পরামর্শ এর আগে শোনা গিয়েছিল গঙ্গা সাফাই অভিযানে যুক্ত একটি সংগঠনের কথায়। এবার খোদ জলশক্তি মন্ত্রী স্বীকার করলেন, মন্ত্রক প্রস্তাব দিয়েছিল আইসিএমআর-কে। তিনি বলেন, 'গঙ্গার জল যদি সংরক্ষণ করে ১০০ বছরও রাখা হয়, তবুও সেই জল নষ্ট হয় না। অন্যান্য নদীর জলের তুলনায় গঙ্গা জলের বিশেষত্ব এখানেই। এর গুণমান সম্পর্কে বিশেষ ধারণাও প্রচলিত রয়েছে এই দেশে। আমরা আইসিএমআর-কে এরকমও প্রস্তাব দিয়েছিলাম, করোনার চিকিৎসায় গঙ্গাজল ব্যবহার করা যায় কি না সেই বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য।' যদিও করোনা চিকিৎসায় গঙ্গা জল ব্যবহারের কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই বলে সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে আইসিএমআর।
এদিন জলশক্তি মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি, লকডাউনের ফলে শিল্প, কলকারখানা বন্ধ থাকায় নদীগুলি পরিষ্কার হয়ে গেছে।' তবে বর্তমানে গঙ্গার এই ইতিবাচক ফলাফলের নেপথ্যে শুধুমাত্র লকডাউনই নয়, নরেন্দ্র মোদী সরকারের পদক্ষেপও রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি বলেন, 'গত পাঁচ বছর ধরে আমরা এই প্রকল্পে কাজ করছি। অবশেষে তার সুফল চোখে পড়ছে। নির্মল গঙ্গার উদ্দেশ্য পূরণে আমাদের সাহায্য করেছে বহু সংগঠনই। আমি ব্যক্তিগতভাবে গঙ্গা নদীর জল পানও করেছি। হৃষিকেশের জল পানের যোগ্য। শুধুমাত্র লকডাউন নয়, নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রচেষ্টায় এই সুফল পেয়েছি আমরা।' তবে কোভিড ১৯ চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গঙ্গাজল ব্যবহারের প্রস্তাব নিয়েই আলোচনায় মেতেছেন নেটিজেনদের একাংশ।