পুলিশকর্মীর লাঠিতেই বাজল মিঠে বাঁশির সুর, দেখুন ভিডিও

আজ বিকেল: পুলিশের লাঠি একবার খেলে সারাজীবন মনে থাকবে, সেই লাঠির সুর শুনলেও ভুলতে পারবেন না। একথা হলফ করে বলার সময় এবার চলেই এল। কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফাইবার দণ্ডটিতেই বাঁশির সুর তুলে মন ভরিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের হুবলি থানার হেড কনস্টেবল চন্দ্রকান্ত হুটগি। সেই থানার এক পুলিশকর্তার কানে এমন সুপ্ত প্রতিভার খবর পৌঁছাতেই খুশি হলেন তিনি। নিজে

পুলিশকর্মীর লাঠিতেই বাজল মিঠে বাঁশির সুর, দেখুন ভিডিও

আজ বিকেল: পুলিশের লাঠি একবার খেলে সারাজীবন মনে থাকবে, সেই লাঠির সুর শুনলেও ভুলতে পারবেন না। একথা হলফ করে বলার সময় এবার চলেই এল। কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফাইবার দণ্ডটিতেই বাঁশির সুর তুলে মন ভরিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের হুবলি থানার হেড কনস্টেবল চন্দ্রকান্ত হুটগি। সেই থানার এক পুলিশকর্তার কানে এমন সুপ্ত প্রতিভার খবর পৌঁছাতেই খুশি হলেন তিনি। নিজে চন্দ্রকান্তকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মিঠে সুর শুনলেন। পরে সারা দেশকে এই প্রতিভার খবর দিতে চন্দ্রকান্তের বাঁশির সুর ভিডিও করলেন।

পুলিশ শুধু অপরাধী ধরে বেড়ায়, যত অন্ধকার জগতের সঙ্গে তার ওঠাবসা। আজ চোর ধরছে তো কাল ছিনতাইবাজ। পরের দিন আবার ড্রাগ পাচারকারীকে ছেড়ে দিচ্ছে তোলার বিনিময়ে। তাই পুলিশকে দেখলে সম্মান ভক্তির থেকে এড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংক্যাই বেশি। রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লে মন চাইলেও সাধারণ মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না, পাছে পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। অপরাধীকে না ধরে নিরপরাধকে হেনস্তা করায় পুলিশের কোনও জুড়ি নেই। এমন বদনাম কিন্তু হামেশাই শোনা যায়।

সেখানে চন্দ্রকান্ত হুটগির মতো পুলিশকর্মী তো গোবরে পদ্মফুল সবিশেষ। হুবলি থানার পুলিশকর্তা তাঁর ভিডিও খানা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই চন্দ্রকান্তের বাঁশির সুরের প্রেমে পড়েছে নেটিজেনরা। সবাই ধন্য ধন্য করছে। অনেকে তো এমন কথাও বলেছেন, যে লোকটি লাঠির ঘায়ে অপরাধীকে ঘায়েল করছেন  আবার সেই লোকটি লাঠিটিতেই তুলছেন বাঁশির মিঠে সুর। এমন মানুষ আজকাল বড় আর দেখা যায় না।

জানা গিয়েছে, এখন আর দেশের পুলিশকর্মীর হাতে বাঁশের লাঠি বা বেত কোনওটাই থাকে না। প্রতিটি পুলিশকর্মীর হাতে এখন ফাইবারের লাঠি, আর অবসরে সেই লাঠিতেই সুর তোলেন চন্দ্রকান্ত হুটগি। অপরাধী ধরার বাইরেও চন্দ্রকান্তর শিল্পী মন ভাবনার অবসর খুঁজে নিয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বাঁশি বাজিয়ে থাকেন এই পুলিশকর্মী, তাঁর শৈল্পিক প্রতিভায় মুগ্ধ জনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *