নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময়েই ভারতের মাটি ছুঁলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে আগেই আমদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এয়ার ফোর্স ওয়ান’ বিমান থেকে ভারতের মাটিতে পা রাখা মাত্রই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ও কন্যা ইভাঙ্কাকে করমর্দন করে স্বাগত জানান মোদী। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে এবার ট্রাম্প যাবেন সবরমতী আশ্রমে। তারপর যোগ দেবেন মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে।
বিমান থেকে নামলেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থান জানালেন মোদি। মোতেরায় পৌঁছেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহ। ট্রাম্পের হিন্দি টুইটের প্রেক্ষিতে মোদী পাল্টা টুইট করে বলেন, “অতিথি দেব ভব।” ট্রাম্পকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতে আসার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হিন্দিতে টুইট করেন। তিনি লেখেন “আমরা ভারতে আসতে আগ্রহী। এখন মাঝপথে আছি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সকলের সঙ্গে দেখা হবে। হাম ভারত আনে কে লিয়ে তৎপর হ্যায়। হাম রাস্তে মে হ্যায়। কুছ ঘণ্টো মে হাম সবসে মিলেঙ্গে।” সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমদাবাদে পৌঁছেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে তিনিও মুখিয়ে রয়েছেন।
দু’দিনের সফরে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে খামতির কোনও জায়গা রাখছে না ভারত। তা সে নিরাপত্তা হোক বা তাঁর থাকার ব্যবস্থা— সব দিক থেকে লক্ষ্যণীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে আমদাবাদ পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার রাস্তা গত কয়েক দিনে সেজে উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে এই দীর্ঘ পথে নজিরবিহীন ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে নাচ-গান এবং ‘রোড শো’-এর ব্যবস্থা। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা আমদাবাদ শহরটিকে। ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এবং স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)।