বিদেশে যেতে চান? পড়ুন ভিসা আবেদনের খুঁটিনাটি

বিদেশে যেতে চান? পড়ুন ভিসা আবেদনের খুঁটিনাটি

কলকাতা: প্রয়োজনেই হোক বা নিছক অন্য দেশে সময় কাটানোর সাধ পূরণের জন্য দেশের সীমানা পেরোনো ইচ্ছে কম বেশি সকলের থাকে৷ কিন্তু অন্য দেশে পাড়ি দিতে গেলে যে লাগবে সে দেশের অনুমতি৷ যেটা গ্রাহ্য না হলে তো কেউ অন্যের দেশে পাড়ি দিতে পারবে না৷ ভিন দেশের মাটিতে পা রাখতে অনুমতি পত্রের নাম ভিসা৷ এবার আসা যাক কী করে আবেদন করতে হয়, এই ভিসার সেই প্রসঙ্গে৷ তবে বলে নেওয়া ভাল, ভিসা সাধারণত দু’প্রকার৷ অল্প সময় থাকার জন্য নন ইমিগ্রান্ট ভিসা ও পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য ইমিগ্রান্ট ভিসা৷

বিভিন্ন দেশ ভেদে ভিসার আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রদত্ত নথি ভিন্ন হয়৷ সাধারণত আবেদনকারী ব্যক্তির জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইমেল আইডি, পাসপোর্ট, পেশা, ঐ ব্যক্তি যে দেশে যেতে চাইছেন সেখানে কতদিন থাকবেন, গন্তব্যস্থলে তাঁকে যোগাযোগের ঠিকানা, বিবাহিত কি না, সর্বোপরি জন্মগতভাবে তিনি কোন দেশের নাগরিক৷ শুধু তাই নয়, এছাড়াও আবেদনকারীর নামে এই যাবৎকাল পর্যন্ত কোনও অপরাধে যুক্ত থাকার কারণে কোনও ফৌজদারী মামলা বা পুলিশ অভিযোগ রয়েছে কি না৷ 

এতো গেল সাধারণ আবেদনের সঙ্গে প্রদত্ত নথির বিবরণ৷ এরপর গন্তব্যের কারণ ভেদে প্রদত্ত নথির তারতম্য হয়৷ যেমন যে ব্যক্তি কর্মসূত্র বিদেশে পাড়ি দিতে চাইছেন, তাঁকে সেই কর্ম প্রতিষ্ঠানের নাম, যে পদে তিনি যোগ দিচ্ছেন তার নাম, কর্মকালের মেয়াদ, মাসিক বেতনের পরিমাণ, কাজের নিয়োগপত্র ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পেশ করতে হয়৷ উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে, যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, সেখানকার বিস্তারিত বিবরণ, এর আগে ওই পড়ুয়া কী কী শিক্ষার্জন করেছেন, তার তালিকা ও প্রমাণপত্র ইত্যাদি৷ এবাদেও কোনও কোনও দেশে আবার অতিরিক্ত অর্থ লাগে৷ যা ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় জমা করতে হয়৷ এতো কিছু নথপত্র প্রকাশের পর মেলে বিদেশে যাওয়ার ছাড়পত্র৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *