লখনউ: আরামের জীবন পছন্দ নয়। তাই এমন কোনও পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নই দেখতে পছন্দ করেন না মায়াবতী যেখানে কোনও জটিলতা কিংবা পরিশ্রম নেই। মূলত সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি নয় মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদই তাঁর বেশি পছন্দ। সম্প্রতি সপা প্রধান অখিলেশ যাদবকে পাল্টা জবাব দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী।
সম্প্রতি কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নাকি মায়াবতীকে পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে চলেছে গেরুয়া বাহিনী। দিন কয়েক আগেই এমন কথা জানিয়েছিলেন খোদ সমাজবাদী পার্টির কান্ডারী তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। উত্তরপ্রদেশে গত মাসের শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় প্রসঙ্গে অখিলেশ বলেন, গেরুয়া বাহিনীর জয়ের পিছনে অনেকাংশেই মায়াবতীর হাত রয়েছে। কারণ মায়াবতী তাঁদের ভোট হস্তান্তরিত করে জিততে সাহায্য করেছিলেন। অখিলেশের এই অভিযোগেরই বৃহস্পতিবার পাল্টা জবাব দিয়েছেন মায়াবতী। এদিন তিনি সাফ জানান, ‘আমার আরামের জীবন পছন্দ নয়। বরাবরই আমার সংগ্রামের জীবন। তাই আমি আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ভবিষ্যতে দেশের প্রধানমন্ত্রীও হতে চাই। কিন্তু আমি কখনওই দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখি না।’ সেইসঙ্গে এদিন তিনি অখিলেশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে নিজেদের ক্ষমতা দখলের রাস্তা পরিষ্কার করতেই এমন গুজব রটাচ্ছে সমাজবাদী পার্টি।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে বিজেপি যে দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরপ্রদেশে পুনরায় ক্ষমতা দখল করেছে তার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী অখিলেশের দল। তাঁর কথায় সমাজবাদী পার্টি রাজ্যের মুসলিম এবং অন্যদের উপর নৃশংসতার জন্য দায়ী। আর এটাই গেরুয়া বাহিনীদের জয়ের কারণও বটে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই খবর মিলেছে বহুজন সমাজ পার্টির সাধারণ সম্পাদক সতীশচন্দ্র মিশ্র এবং দলের একমাত্র বিধায়ক উমাশঙ্কর সিং বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছেন। এই খবর প্রকাশে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে এ ব্যাপারে মায়াবতী বলেন, ‘আমাদের আমলে তৈরি স্মৃতিসৌধগুলি বর্তমানে ভয়াবহ অবহেলার শিকার হচ্ছে। মূলত সেই ব্যাপারেই রাজ্য সরকারকে অবহিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন আমার দলের লোকেরা।’ কিন্তু মায়াবতীর বলা কারণই সতীশচন্দ্র এবং উমাশঙ্করের সঙ্গে আদিত্যনাথের সাক্ষাতের মূল কারণ কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।