আম্বানি পুত্রের বিয়ের কার্ডের সোনার মূর্তি! চমকে যাবেন দেখলে

মুম্বই: অনন্ত-রাধিকা এটা বিয়ের কার্ড না ছোটখাটো মন্দির! বিয়ের কার্ডে নাকি রয়েছে দেবতার সোনার মূর্তি৷ মন্দিরের দরজা খুললেই অবাক হয়ে যাবেন৷ বিয়ের কার্ড এমন হলে…

মুম্বই: অনন্ত-রাধিকা এটা বিয়ের কার্ড না ছোটখাটো মন্দির! বিয়ের কার্ডে নাকি রয়েছে দেবতার সোনার মূর্তি৷ মন্দিরের দরজা খুললেই অবাক হয়ে যাবেন৷ বিয়ের কার্ড এমন হলে বিয়েতে আর কোন চমক বাকি?

দু দুবার প্রি ওয়েডিংয়ের প্রোগ্রাম হয়ে গিয়েছে অনন্ত ও রাধিকার৷ সেই আয়োজন চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীদের৷ তবে এবার চমক আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলের বিয়ের কার্ডে৷ অনন্ত-রাধিকার বিয়ের কার্ডে দেবতার সোনার মূর্তি? কার্ডগুলি অতিথিদের বাড়িতে পৌঁছে যেতেই অনেকেই সেটির ভিডিও করছেন৷ আগামী ১২ জুলাই বসবে বিয়ের আসর, আর সেই কারণে ইতিমধ্যে একাধিক অতিথির বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে বিয়ের কার্ড। আর সেখানের রয়েছে চমক।

বাক্স খোলা থেকে শুরু করে বন্ধ পর্যন্ত রয়েছে যা যা রয়েছে তা দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল রুপোলি একটা মন্দির৷ যার মধ্যে নাকি অধিষ্ঠিত রয়েছে চার ভগবানের সোনার মূর্তি। রাধাকৃষ্ণ, গণেশ, মা লক্ষ্মী ও রামের মূর্তি৷ এই বাক্স খুললেই চালু হবে শাস্ত্রীয় মন্ত্র। এরপর রয়েছে মূল কার্ড, যা তৈরি করা হয়েছে রুপো দিয়ে। সেখানেও প্রথমেই ভগবান রামের ছবি৷ তারপর ভিতরে গণেশের ছবি৷ কার্ডের ভিতরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাধিকা ও অনন্তের নাম রয়েছে৷ সেখানেই আরও একটা ছোট কার্ডও রয়েছে

এছাড়াও এই কার্ডের সঙ্গে এসেছে একটি বাক্স৷ সেই বাস্ক খুলতেই দেখা যাচ্ছে ভিতরে রয়েছে রামের ছবি আঁকা আরেকটি লাল রঙের বাক্স৷ সেই বাক্স খুললেও শোনা যাচ্ছে বিষ্ণু মন্ত্র৷ ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট দুটো বাক্স৷ সেখানেও রয়েছে ভগবানের মূর্তি৷ ও একটি সাল৷ মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তাঁদের বিয়ের জমকালো আসর বসবে। হিন্দু বৈদিক রীতি অনুযায়ী অনন্ত আর রাধিকা চিরবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। এ অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড বা পোশাকের থিম রাখা হয়েছে ইন্ডিয়ান ফরমাল। এদিকে ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ সারতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বাড়িতে পৌঁছে যান মুকেশ আম্বানি। সঙ্গে ছিলেন অনন্ত ও রাধিকাও। বিয়ের কার্ড ও ফুলের তোড়া নিয়ে শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এ দিন আম্বানিদের হবু বউমা রাধিকার যায় গণেশের মূর্তি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *