নয়াদিল্লি : আদালত থেকে উধাও বিজয় মালিয়া মামলার বেশ কিছু নথি। এর মধ্যে আদালত অবমাননা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিজয় মালিয়ার দায়ের করা আবেদনের তথ্যেরও খোঁজ মিলছে না বলেও সূত্রের খবর। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ অগাস্ট। ২০১৭ সালে এই আদালত অবমাননা মামলায় বিজয় মালিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ঋণখেলাপের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লিকার ব্যারন মালিয়া।
ব্যাঙ্কগুলির বকেয়া ৯ হাজার কোটি টাকা মালিয়াকে ফিরিয়ে দিতে বলে আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়ার অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি মার্কিন ডলার সরিয়ে ফেলেন মালিয়া। আদালতের নির্দেশ না মেনে টাকা সরানোর জন্য ২০১৭ সালের ৯ মে মালিয়াকে অবমাননার মামলা দায়ের করে তাতে মালিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে শীর্ষ আদালত। গ্রেফতারি ঠেকাতে ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন মালিয়া। বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের এজলাসে মামলাটি ওঠে।
কিন্তু শুনানির সময় দেখা যায় মালিয়ার আবেদন সংক্রান্ত কিছু নথি আদালতের কাছে নেই। নথি জোগাড় করতে বেশ কিছু সময় চেয়েছেন আইনজীবী। ২০ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। নিজের কোম্পানি কিংফিশার এযারলাইনসের জন্য বিজয় মালিয়া দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন। টাকা না ফেরত দিয়েই দেশ ছাড়ান মালিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপের অভিযোগ করে ১৭ টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম।
তাঁকে দেশে ফেরাোতে তখন থেকেই উদ্যোগ শুরপু করে ভারত সরকার। কিন্তু আইনের নানা মারপ্যাঁচে দেশে ফেরা ঠেকিয়ে যাচ্ছেন মালিয়া। নানা অজুহাত দিচ্ছেন তিনি। কখনও বলছেন তিনি টাকা দিতে ইচ্ছুক কিন্তু ভারত সরকার সেই টাকা ফেরত নিতে চাইছে না, আবার কখনও বলছেন তিনি এতই গরীব যে টাকা ফেরাতে পারবেন না। বৃটেনেকর আদালত যদিও তাঁর প্রত্যর্পণে রাজি হয়েছে। কিন্তু আইনের বিভিন্ন প্যাঁচে এখনও আটকেই রয়েছে লিকার ব্যারনের দেশের ফেরার পথ।