নয়াদিল্লি: জেএনইউয়ের হিংসা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন উপাচার্য এম জগদীশ কুমার৷ তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে৷ যাঁরা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে৷ জেএনইউয়ের হিংসার পরেই পড়ুয়ারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন৷ অনেক অধ্যাপকও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন৷
এক সাংবাদিক সম্মেলনে জগদীশ কুমার বলেন, বিতর্কের জন্য জেএনইউ পরিচিত৷ তবে রবিবার সন্ধ্যার সময় যা ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক৷ ঘটনার পরেই পুলিশ ডাকা হয়৷ পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ তদন্ত শেষ হলেই ভেতরের খবর বাইরে বেরিয়ে আসবে৷ অন্যদিকে, জেএনইউয়ের রেজিস্টার প্রমোদ কুমার জানিয়েছেন, ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ কারা এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করতে হবে৷ প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হতে পারে বলে তিনি জানান৷
তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত মঞ্চ৷ এখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন৷ তিনি মন্তব্য করেছেন, আমরা কখনই পড়ুয়াদের দুটো দলে ভাগ করে দেখছি না৷ হোটেল ফি বৃদ্ধির অভিযোগে জেএইউয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে৷ অনেক পড়ুয়ার ফি বৃদ্ধির অভিযোগে পরবর্তী সেমিস্টারের জন্য রেজিস্টেশন করেননি৷ যদিও মঙ্গলবার উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের পড়ুয়া পরবর্তী সেমিস্টারের জন্য রেজিস্টেশন করেছেন৷ মঙ্গলবার ফের শান্তিপূর্ণ উপায়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
JNU VC M Jagadesh Kumar: The registration process has been restarted. Students can register for the winter semester now. Let us make a new beginning and put the past behind. https://t.co/fRukfsGK8A
— ANI (@ANI) January 7, 2020
যদিও জেএনইউএসইউয়ের তরফে একটি টুইটারে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ৫ তারিখের ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি৷ যেখানে রবিবারের হামলার জেরে পড়ুয়াদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন অধ্যাপক আহত হয়েছেন৷ জেএনইউ কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে রেজিস্টারের সময় সার্ভাররুম ভাঙচুর করার জন্য৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট আয়েশা ঘোষ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে৷