নয়াদিল্লি: হিন্দুত্বকে বাঁচাতে হবে৷ বিয়ের পর কমপক্ষে দুই থেকে তিন সন্তানের জন্ম দিক হিন্দু যুবকরা৷ এহেন পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা মিলিন্দ পারান্ডের৷ তিনি মনে করেন, হিন্দু দম্পতিরা দুই থেকে তিনটি সন্তানের জন্ম না দিলে আগামী দিনে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে হিন্দু সমাজ।
আরও পড়ুন- মাইক্রো কনটেনমেন্টে জোর, ওমিক্রন রুখতে মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা মোদীর
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডওয়াতে মিলিতভাবে একটি যুব সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভিএইচপি ও বজরং দল৷ ওই সম্মেলনে গিয়েই বিতর্কের আগুন জ্বালান মিলিন্দ পারান্ডে৷ উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, “বিয়ের পর প্রত্যেক হিন্দু যুবকের সন্তানের জন্ম নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। প্রত্যেকের উচিত কম করে দুই থেকে তিনটি সন্তানের পিতা হয়ে ওঠা। না হলে হিন্দু সমাজ সংকটে পড়বে৷ হিন্দু জনসংখ্যা কমে যায়।”
শুধু সন্তান জন্ম প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত হননি মিলিন্দ৷ সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ইংরেজি ধারার আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ব্রিটিশ রাজত্বে ভারতের অতীত গৌরবকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ এমন ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাতে সাজানো হয়েছিল যাতে নিজেদের ইতিহাস সম্পর্কেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে হিন্দু সমাজ। মিলিন্দ বলেন, “ব্রিটিশরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করেছিল৷ যে সমাজ তার পূর্বপুরুষদের জন্য গর্বিত নয়, বরং লজ্জিত হয়, সেই সমাজ বেশিদিন স্থায়ী হতে পারে না।”
তাঁর কথায়, মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, অথচ হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে৷ যা হিন্দু সমাজের জন্য বিপজ্জনক৷ হিন্দুদের অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ভিএইচপি নেতা। মিলিন্দ বলেন “হিন্দু জনসংখ্যা কমতে থাকলে দেশের অখণ্ডতা নষ্ট হবে৷ আগামী দিনে দেশ ভাদ রুখতে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানো উচিত৷’’