অনলাইনে রামন্দিরে ভূমি পুজোর পরামর্শ উদ্ধব ঠাকরের, ‘অন্ধ বিরোধিতা’ বলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমারের মতে ভূমি পূজন একটি পবিত্র অনুষ্ঠান যা ই-কনফারেন্সের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। কারণ যে কোনও নির্মাণ কাজ শুরুর আগে আমরা ধরিত্রী মাতার উপাসনা করি।

নয়াদিল্লি: দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রাম মন্দির নির্মাণের সূচনা ও তার আগে এই উপলক্ষে ভূমিপূজো অনুষ্ঠান।  আগামী ৫ আগস্ট রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সের ভিতরেই কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ জন হাই প্রোফাইল অতিথির উপস্থিতিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উপস্থিত থাকার কথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেরও।

তবে তার আগে রবিবার শিবসেনার দলীয় মুখপত্র 'সামনা'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে  ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাম মন্দিরের 'ভূমি পূজন' করার পরামর্শ দিয়ে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন  তিনি।  রবিবার তাঁর এই সাক্ষাৎকারের পরদিনই অর্থাৎ  সোমবার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর খুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁর এই পরামর্শকে 'অন্ধ বিরোধিতা' বলে উল্লেখ করেছেন ভিএইচপি-র কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার। 

তাঁর কথায়,”উদ্ধব ঠাকরের বক্তব্যে শুধুমাত্র তাঁর অন্ধ বিরোধিতা প্রকাশিত হয় এবং এই পতনের জন্য আমরা শোকাহত যে এককালে হিন্দুত্ববাদী দলের নেতৃত্ব ছিলেন কিংবদন্তি শ্রী বাল সাহাব ঠাকরে।”কুমার আরও বলেন যে ভূমি পূজন একটি পবিত্র অনুষ্ঠান যা ই-কনফারেন্সের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। কারণ যে কোনও নির্মাণ কাজ শুরুর আগে আমরা ধরিত্রী মাতার উপাসনা করি। খনন ও কাঠামো নির্মাণের জন্য তাঁর অনুমতি নিয়ে সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করি। ”

 

প্রসঙ্গত, বহু বিতর্কিত রাম মন্দির নির্মাণের সূচনা পর্বেও নানান বিতর্ক প্রকাশ্যে আসছে। পুরো পরিকল্পনায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে  মতানৈক্য শুধু বিরোধী শিবিরের সঙ্গেই নয়, বরং এই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত হিন্দুত্ববাদী দল ও ব্যাক্তিত্বদের পারস্পরিক মতানৈক্য আরও বেশি প্রকাশ্যে আসছে। সংক্রমণ এড়াতে ও দেশের লক্ষাধিক ভক্তদের কথা চিন্তা ভাবনা করে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের পরামর্শ দিয়ে উদ্ধব ঠাকরে তখন বলছেন এটি একটি আনন্দের মূহুর্ত। একইসঙ্গে করোনার মতো মহামারীর সহাবস্থান। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে  সংক্রমণ আরও বাড়বে।   

তখন তাঁর পরামর্শের সমালোচনা করে  পুরোহিতদের বক্তব্য রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানটি কোনও সরকারি সভা নয় যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতে পারে।কয়েকদিন আগেই সারদা দ্বারকাপিঠের প্রধান পুরোহিত শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী রাম মন্দিরের ভূমি পূজার দিনটিকে 'অশুভ সময়' বলে উল্লেখ করেছেন।তাঁর দাবি নিয়ে সমালোচনায় মুখর রাম মন্দিরের পুরোহিতরা থেকে শুরু করে অনেকেই। প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস তার এই দাবিকে রাজনৈতিকভাবে প্রোরচনামূলক বলে উল্লেখ করে বলেন ভগবানের কোন কাজের জন্য যেকোনো সময়ই শুভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =