দস্যু বীরাপ্পন-কন্যার হাতে যুব বিজেপির দায়িত্ব, ‘বাবা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে’

দস্যু বীরাপ্পন-কন্যার হাতে যুব বিজেপির দায়িত্ব, ‘বাবা আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে’

চেন্নাই: মনে আছে সেই চন্দন দস্যু বীরাপ্পনকে? হ্যাঁ, সেই দস্যু, যার নামে কাঁপত গোটা দক্ষিণ, তামিলভূমি৷ আজ বরং কথা হোক, দস্যু-কন্যা বিদ্যা বীরাপ্পানকে নিয়ে৷ চন্দন দস্যুর  বীরাপ্পনের মেয়ে৷ বাবার পদবি ব্যবহার করলেও তিনি কিন্তু, অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাননি৷  আইনে স্নাতক ডিগ্রি ছিনিয়ে এনে ২৯ বছররের বিদ্যা মন দিয়েছেন রাজনীতি৷ শুধু রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নয়, সদ্য তামিলনাড়ুর যুব বিজেপি সহ-সভানেত্রী পদেও নিয়েছেন দায়িত্ব৷

রাজনৈতিক মহলের কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বীরাপ্পন-কন্যাকে যুব সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি৷ শোনা যায়, বছর কয়েক আগে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বিদ্যাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি রাধাকৃষ্ণাণের সঙ্গে দেখা করান৷ সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  বীরাপ্পন-কন্যাকে রাজনীতিতে যোগ দিতে পরামর্শ দেন৷ তবে, সরাসরি রাজনীতিতে না গিয়েও সেবা করা যায়, তা ইতিমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন বিদ্যা৷ কৃষ্ণাগিরিতে পথশিশুদের  জন্য একটি স্কুলও খুলেছেন৷ সেখানে হিংসা-অপরাধ নয়, মানবিকতার হাতিয়ার গড়ছেন তিনি৷

বাবার পরিচয় সরিয়ে নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তোলা যে কঠিন, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিদ্যা৷ যুব বিজেপির দায়িত্ব পাওয়ার পর বীরাপ্পনকে নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়৷ উড়ে আসে নানান প্রশ্ন৷ সাবলীলভাবে তার জবাবও দিয়েছেন চন্দন দস্যুর মেয়ে৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাবার সঙ্গে তাঁর মাত্র ১ বার দেখা হয়েছিল৷ আমি ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল দিব্যা৷ কর্ণাটকের হানুরের কাছে ঠাকুরদার বাড়িতে বাবা দেখা করতে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছেন৷ আমাকে ভালো করে পড়াশুনো করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে বলেছিলেন৷ বাবার জীবনের কয়েকটি ঘটনা আমাকে সমাজসেবা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − four =