Vatican Conclave for New Pope
নয়াদিল্লি: সিটি ইস্টার সোমবার, ২১ এপ্রিল। খ্রিস্টান বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র দিনগুলোর একটি। আর এই দিনেই ঈশ্বরের ঘরে ফিরে গেলেন তাঁর এক অনন্য প্রতিনিধি—পোপ ফ্রান্সিস। ৮৮ বছর বয়সে, ভ্যাটিকানের Casa Santa Marta-তে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ক্যাথলিক ধর্মের প্রধান মুখ।
একজন ধর্মগুরু, একজন সংস্কারক, একজন মানবতাবাদী—এভাবেই তাঁকে মনে রাখবে বিশ্ব। তাঁর প্রয়াণ শুধু একটি পদ শূন্য করে দেয়নি, সৃষ্টি করেছে এক গভীর শূন্যতা, যা অনুভব করছে ১৩০ কোটিরও বেশি ক্যাথলিক বিশ্বাসী মানুষ ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁর অনুরাগীরা।
সেদে ভাকান্তে ঘোষণা, শুরু কনক্লেভের প্রস্তুতি Vatican Conclave for New Pope
পোপের প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যাটিকান ঘোষণা করে দিয়েছে “Sede Vacante”—অর্থাৎ পোপের আসন এখন খালি। এই ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হলো কনক্লেভ, অর্থাৎ গোপন পদ্ধতিতে নতুন পোপ নির্বাচনের পথচলা।
সিসটিন চ্যাপেলের গোপন ঘরে প্রবেশ করবেন ৮০ বছরের কম বয়সী ১৩৫ জন কার্ডিনাল। তাঁদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি ভোট বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের মধ্যে থাকবেন ভারতের চার কার্ডিনাল৷ যা এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলা যেতে পারে৷
ভারতের চার প্রতিনিধির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ Vatican Conclave for New Pope
ভারতের চারজন বিশিষ্ট কার্ডিনাল থাকছেন এই কনক্লেভে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন:
- কার্ডিনাল ফিলিপ নেরি ফেরাও (৭২): গোয়া ও দমন-এর আর্চবিশপ, ক্যাথলিক বিশপদের কনফারেন্সের সভাপতি।
- কার্ডিনাল বাসেলিয়স ক্লিমিস (৬৪): সাইরো-মালঙ্কারা চার্চের মুখ্য প্রধান।
- কার্ডিনাল অ্যান্থনি পুলা (৬৩): ভারতের প্রথম দলিত কার্ডিনাল, হায়দরাবাদের আর্চবিশপ।
- কার্ডিনাল জর্জ জ্যাকব কুভাকাদ (৫১): কেরলের চাঙ্গানাসেরি-র বাসিন্দা, যিনি ভ্যাটিকানে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান।
বিশ্ব দরবারে ভারতীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতি যেমন গর্বের, তেমনই তাঁরা যে নতুন পোপ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন, তা নিশ্চিত।
“Habemus Papam”: যাত্রা শুরু নতুন ইতিহাসের
নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর, সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করা হবে সেই ঐতিহাসিক বাক্য: “Habemus Papam”—আমরা পেয়েছি আমাদের পোপ। সেই মুহূর্তে লাখো মানুষ জমায়েত হবে, চোখ থাকবে আকাশে ভেসে আসা ধোঁয়ার দিকে। সাদা ধোঁয়া মানেই পোপ নির্বাচিত; কালো হলে বুঝতে হবে—প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া: এক যুগের অবসান
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মহলে শোকের ছায়া। তাঁর শান্তির বার্তা, পরিবেশ সংরক্ষণে জোর, এবং অভিবাসী অধিকার নিয়ে নিরলস কাজ তাঁকে করে তুলেছিল যুগান্তকারী এক ধর্মনায়ক।
পেছনে রেখে গেলেন এক উত্তরাধিকার
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি কখনও বিলাসিতা পছন্দ করেননি। যিনি সাধারণ পোশাকে, সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে চার্চকে নিয়ে গিয়েছিলেন মানুষের আরও কাছাকাছি। আজ তিনি নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ, তাঁর বার্তা রয়ে যাবে আগামী বহু প্রজন্মের জন্য।
এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়া তাকিয়ে আছে সিসটিন চ্যাপেলের দিকে, চোখ রাখা ভবিষ্যতের পোপের মুখে। কে হবেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতার উত্তরসূরি? তা জানা সময়ের অপেক্ষা।
National: Pope Francis, a revered leader, passes away at 88 in Vatican’s Casa Santa Marta. His legacy as a reformer and humanitarian leaves a deep void. The Vatican announces “Sede Vacante,” initiating the conclave for selecting the next Pope.