মুম্বই: ৬ মাসের জন্য জামিন দেওয়া হল ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভারভারা রাওকে। শারীরিক কারণে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে এই নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তবে জামিন মঞ্জুর করলেও বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে অশীতিপর কবির উপর। এর আগেও একই কারণ জানিয়ে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়।
এবার জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছে যে, আগামী ছয় মাস মুম্বই শহরের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। একইসঙ্গে তদন্তের প্রয়োজনে তলব করা হলে তাকে হাজিরা দিতেই হবে। এক্ষেত্রে যদি তিনি সশরীরে হাজির না থাকতে পারেন তাহলে সেটা আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে পারবেন। এছাড়াও ভারভারা রাওকে তার বাড়ির ঠিকানা সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য বিশদে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ২০১৮ সাল থেকে জেলে রয়েছেন তিনি। ভারভারার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে, জেলে থাকাকালীন ভারাভারা রাওয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে কিন্তু ব্যাপারটায় আমল দেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে সঠিকভাবে চিকিৎসা করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে ভারভারা রাও করোনাভাইরাস আক্রান্ত পর্যন্ত হন। সেই সময় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তবে এখন কিঞ্চিৎ স্বস্তি পেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারভারা রাওয়ের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, ২০১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁওতে দলিতদের এক অনুষ্ঠানে যে ব্যাপক গন্ডগোল হয় তার পিছনে ছিলেন তিনি এবং তার সঙ্গে আরো চারজন সমাজকর্মী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে যুক্ত থাকা এবং মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ আইনে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মুক্তির দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন হলেও আখেরে কোনো লাভ হয়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানানো হলেও এতদিন মিলছিল না জামিন। তবে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে তিনি এবং তার পরিবার।