মুম্বই: মুম্বইয়ের ভুয়ো টিকা কাণ্ডে ফের অভিযোগ দায়ের। অভিযুক্ত সেই একই, স্থান আলাদা৷ মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকার হিরানন্দানি এস্টেট সোসাইটির বাসিন্দাদের টিকাকরণের নামে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, এবার অভিযোগের তির তাঁদেরই বিরুদ্ধে। এবার ভারসোভাতেও এক ফিল্ম নির্মাতা সংস্থার কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কান্দিভালির ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পাঁচ জন পুলিশের জালে ধরা পড়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারসোভা পুলিশের তরফে দ্বিতীয় এফআইআর করা হয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ মে ‘ম্যাচবক্স পিকচার্স’-এর ১৫০ জন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেন অভিযুক্তরা৷ কিন্তু ভ্যাকসিনের কোনও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। তাঁদের বলা হয়েছিল, একসঙ্গে অনেককে টিকা দেওয়ায় সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে। এই ভাবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলও মেলেনি সার্টিফিকেট। কারও শরীরেই টিকা নেওয়ার ফলে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের দাবি, কান্দিভালির ভুয়ো টিকা কাণ্ডে অভিযুক্তরাই এই ঘটনায় জড়িত৷
কান্দিভালির আবাসনে ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে৷ তাঁদের তদন্ত শেষ হলেই পুলিশ হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের ভারসোভা থানার পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করা হবে৷ রবিবার ভারসোভা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কান্দিভালির হিরানন্দানি এস্টেট সোসাইটি নামের আবাসনেও ভুয়ো টিকা কাণ্ডে জড়িত ওই অভিযুক্তরা। তাঁদের প্রধান রাজেশ পাণ্ডে নিজেকে কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেন। একটি টিকার জন্য ১২৬০ টাকা দাম ধার্য করে আবাসনের বাসিন্দাদের থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযুক্তরা। এক্ষেত্রেও আবাসনের শ চারেক বাসিন্দার কারও কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। কাউকে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও, তাতে এক একটিতে এক এক হাসপাতালের নাম। সেই সূত্রেই জালিয়াতি ধরা পড়তেই অভিযোগ দায়ের হয় এফআইআর।