নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের মানবদেহে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে অনুমোদনের জন্য ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে অনুমতি চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। খুব শীঘ্রই মানবদেহে এই ট্রায়াল শুরু করতে চাইছে সেরাম। সেরামের মতে যত তাড়াতাড়ি এই ট্রায়াল শেষ হবে। মানুষ করোনার ভ্যাকসিন তত তাড়াতাড়ি পাবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি বিভাগ জানাল, দেশের পাঁচ জায়গায় অবিলম্বেই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। সরকারের তরফে বৃহত্তর কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশে করোনার টিকার ট্রায়াল ও গবেষণার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছে কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি বিভাগ। সচিব রেণু স্বরূপ বলেছেন, দেশের পাঁচটি শহরকে করোনার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। হাজার জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই টিকার ফলাফল দেখতে হবে। তার পরেই সেরাম ওই ভ্যাকসিনের ডোজ বাণিজ্যিক আকারে উৎপন্ন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পর্যায়ের করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসে। মোট ১০৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়। দেখা গেছে, যাদের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাদের ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ইতিবাচক দিক হল এই ভ্যাকসিন শুধু অ্যান্টিবডি তৈরিই করছে না, দেহকোষের টি-কোষকেও সক্রিয় করে তুলছে।