ঝিন্দ: করোনার টিকা নিয়ে হাহাকারের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ চুরি গেল৷ হরিয়ানার ঝিন্দ জেলার একটি সরকারি হাসপাতালের পুরো টিকার ভাণ্ডার খালি করে দিল চোরের দল।
ঝিন্দের পিপিসি সেন্টার জেনারেল হাসপাতালের স্টোর রুমে রাখা ছিল ১ হাজার ৭১০টি টিকার ডোজ। তাতে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড দু’ রকম টিকাই ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ঘটনাটি লক্ষ্য করেন স্টোর রুমের সুইপার। তিনি দেখেন স্টোর রুমের তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিনের ডোজ উধাও৷ স্টোর রুমের দরজা ভেঙে শুধু টিকাগুলিই চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। ওই পিপিসি সেন্টার ইনচার্জের অভিযোগ, করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে কোভিশিল্ডের ১২৭০ ডোজ এবং কোভ্যাকসিনের ৪৪০ ডোজ চুরি গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে জিন্দের গোটা জেলায় হাসপাতালে সরবরাহ করার মতো টিকা নেই।
স্টোর রুমে বাকি ওষুধ বা অন্য চিকিৎসার উপকরণ যা ছিল, সবই যথাস্থানে রয়েছে৷ সেগুলোয় হাত দেওয়া হয়নি। শুধু বেছে বেছে টিকাগুলি চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এর থেকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, চোরেরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল। তাই ‘মহার্ঘ্য’ টিকাগুলিই চুরি করে পালায় তাঁরা। চুরির ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতালের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ওই স্টোর রুমের আশপাশে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এমনকী স্টোর রুমে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থাও নেই। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির কিনারা করার চেষ্ট চলছে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দু’জনের ছবি উদ্ধার হয়েছে । যে রাজ্যগুলি সব থেকে বেশি টিকা নষ্ট করছে, সেই তালিকায় শীর্ষে পাঞ্জাব এবং এরপরেই রয়েছে হরিয়ানা।
দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের যোগান না থাকায় হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তার মধ্যেই ১৭১০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন চুরির ঘটনায় স্বভাবতই কপালে হাত প্রশাসনের।