নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশ তথা বিশ্বের চিন্তা এখনো কমেনি। এরই মাঝে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। মূলত ব্রিটেন এবং ইতালিতে এই নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমনের ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশে। তবে ভারত যে সুরক্ষিত তা একেবারেই নয়। ইতিমধ্যেই লন্ডন ফেরত কয়েকজন যাত্রী দিল্লি এবং কলকাতায় চলে এসেছেন এবং তারা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে সকল আতঙ্ক নতুন করে বাড়ছে তখন আশার আলো শোনালো বায়োএনটেক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। তারা দাবী করল, ৬ সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা যেতে পারে।
এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো তার মিউটেশন। এই নতুন ভাইরাস প্রচণ্ড তাড়াতাড়ি মিউটেট করতে পারে এবং যার সংক্রামক ক্ষমতা বর্তমান করোনাভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। তবে এই ভাইরাসের মিউটেশন ভাঙ্গা সম্ভব ভ্যাকসিন দ্বারা, এমনটাই দাবি করছে বায়োএনটেক সংস্থা। তাদের মত, করোনাভাইরাস মিউটেশন ভাঙ্গার ভ্যাকসিন বিজ্ঞানসম্মতভাবে এই নতুন ধরনের ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই ভ্যাকসিন ৬ সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করা সম্ভব। আরও জানানো হচ্ছে, মেসেঞ্জার টেকনোলজির সাহায্যে এমনভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব যা নতুন করোনাভাইরাসের মিউটেশন ভেঙে দিতে পারে। এটি তৈরি করা যেতে পারে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহের মধ্যেই।
ব্রিটেন এবং ইতালিতে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন এই নতুন করোনাভাইরাসে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক দেশ ব্রিটেনের সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।নতুনভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বেশ কিছু জায়গায় পুনরায় লকডাউন করে দিয়েছে ব্রিটেন সরকার। এর পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া বিমান করে গতকাল রাতে নয়াদিল্লি এসে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন ৫ জন যাত্রী। তারা সকলে লন্ডন থেকে ফিরেছেন। যে বিমানে তারা এসেছেন সেই বিমানে ২৬৬ জন যাত্রী ছিল! ইতিমধ্যেই যে সকল যাত্রী এই ৫ জন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের খোঁজ শুরু করেছে প্রশাসন। এদিকে জানা গেছে গত রবিবার সকালে লন্ডন থেকে কলকাতায় করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে এসেছেন দুই যুবক। তারা ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি। এই দুজন যাত্রীর কাছাকাছি সিটে বসে যারা সেই বিমানে কলকাতায় এসেছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।