নয়াদিল্লি: করোনায় আক্রান্ত যোদ্ধাদের সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পর থেকে করোনার টিকা নেওয়া শুরু করার পরামর্শ কেন্দ্রীয় প্যানেলের। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের উপদেষ্টা প্যানেল, দ্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশনের তরফে এই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে। দ্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশনের এই সুপারিশ এবার পাঠানো হবে ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯-এর আধিকারিকদের কাছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে তবেই এটি গোটা দেশে নির্দেশিকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
করোনায় আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পর থেকে করোনার টিকা নেওয়ার পরামর্শ ছাড়াও কোভিশিল্ড করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রেও দু’টি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় প্যানেলের তরফে৷ সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম কোভিশিল্ডের টিকা থেকে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে অন্তত ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ফারাক রাখার কথা। দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকাল সামনে আসার পরই কেন্দ্রীয় প্যানেলের এমন সুপারিশের খবর প্রকাশিত হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তবে কি ভ্যাকসিন অভাব বলেই এমন সিদ্ধান্ত সরকারের? উল্লেখ্য, মার্চের শুরুর দিকেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান বাড়িয়ে ৬-৮ সপ্তাহের সময়সীমা রাখতে বলা হয়েছিল। যদিও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এই প্যানেলের সুপারিশে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দুগ্ধপ্রদানকারী বা অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকার যে কোনও একটি নিতেই পারেন। তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই টিকা নিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি অবস্ট্র্যাকটিকস অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রকাশিত জার্নালে বলা হয়েছে, অন্ত:সত্ত্বা মহিলারা টিকা নেওয়ার ফলে ভ্রুণের কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। যদিও এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে মডার্না ও ফাইজারের টিকা নেওয়া মহিলাদের ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে এটি এখনও পরীক্ষিত নয়৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তঃসত্ত্বাদের টিকার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।