নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে আরও একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র৷ এবার কর্মস্থলেও ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অফিসের মধ্যেই খোলা হবে টিকাকরণ কেন্দ্র৷ সরকারি ও বেসরকারি সব অফিসেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে৷ কোনও অফিসে ১০০ জন টিকা নিতে আগ্রহী থাকলেই সেখানে কর্মীদের টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিল থেকেই এই ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে৷ এই পরিষেবা শুরু করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে যাঁদের বয়স ৪৫-এর ওপরে তাঁরাই এই সুবিধে পাবেন৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এই বিষয়ে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর৷ চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় টিকাকরণ কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই অফিসগুলিতে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত অফিসে একশোর বেশি কর্মী কাজ করেন, সেই অফিসগুলিতে ভ্যাকসিন সেন্টার গড়ে তোলার দায়িত্ব তুলে দিতে হবে জেলাশাসকদের হাতে। শহরে মিউনিসিপ্যালিটির আধিকারিকদের হাতে এই কাজের দায়িত্ব দিতে হবে।
এই অফিসগুলি দেখভাল করার দায়িত্বও থাকবে জেলাশাসক এবং মিউনিসিপ্যালিটির আধিকারিকদেরই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে টিকাকরণই এই মুহূর্ত একমাত্র উপায় বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শুধুমাত্র গুজরাট এবং ছত্তিশগড় ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে মানুষের মধ্যে টিকাকরণ নিয়ে কোনও উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৭৪ জনের। দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে দ্রুত টিকাকরণের আওতায় আনতে চাইছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ভ্যাকসিনের কোনও সংকট নেই। সরকারের হাতে এখনও যথেষ্ট টিকা রয়েছে। কিন্তু আসল সমস্যা হল, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনীহা এবং পরিকাঠামোর অভাব৷ তাতেই টিকাকরণ কম হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র পরিকাঠামো আরও বাড়াতে চাইছে। সেজন্যই বেসরকারি অফিসে টিকা দেওয়ার ভাবনা।