দেরাদুনi: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যে নামল ভারতীয় বায়ুসেনা। রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ধৌলিগঙ্গা নদীতে হঠাৎই দেখা দেয় বিপুল জলোচ্ছ্বাস। হিমবাহ চ্যুতির ফলেই তুষারধ্বসও নামে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন গোটা দেশ।
কেদারধামের এই বিপর্যয়ে অনবরত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লিখেছেন, “উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির উপর আমি অনবরত নজর রাখছি। গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে এবং তার সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে। আমি অনবরত সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মী এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির (NDRF) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চলছে।”
এদিকে ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্ধারকারী বাহিনীও হাত লাগিয়েছে উত্তরাখণ্ডের কাজে। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “উত্তরাখণ্ডে দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য দেহরাদুন ও আশেপাশের অঞ্চলে দু’টি এমআই-১৭ ও একটি এএলএইচ ধ্রুব চপার তৈরি রাখা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আরও চপার পাঠানো হবে।”
ইতিমধ্যে এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন অন্তত ১৫০ জন শ্রমিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন। ২০০-র কাছাকাছি নিহতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছেই ধৌলিগঙ্গা নদী থেকে আচমকা দেখা দেয় বিপুল জলোচ্ছ্বাস। নদীতীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি এর ফলে ধ্বংস হয়ে যায় মুহূর্তেই। জানা গেছে, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (ITBP) শতাধিক কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। পরে আসে অন্যান্য সাহায্য। চামোলি পুলিশ জানিয়েছে, ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প তপোবন এলাকায় হিমবাহের চ্যুতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।