“মানুষের মত করোনাভাইরাসেরও বাঁচার অধিকার আছে!”

“মানুষের মত করোনাভাইরাসেরও বাঁচার অধিকার আছে!”

দেরাদুন: বিতর্কিত অথবা অবাক করা মন্তব্য করা বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রীদের কাছে একেবারে মামুলি ব্যাপার। যে কোনো ইস্যু হোক না কেন, বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে এমন কিছু মন্তব্য শোনা যায় যা অবশ্য ভাবে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। হালফিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি একাধিক অদ্ভুত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বিজেপির বিভিন্ন নেতাদের। কখনো কেউ বলেছেন গোমূত্র খেলে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না, কেউ কেউ বলেছেন রোদে ঘুরলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এবার বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত যা বললেন, তাতে সাধারণ মানুষ কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে সেটাই হয়তো বুঝতে পারছে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি করলেন, মানুষের মত করোনা ভাইরাসের বাঁচার অধিকার রয়েছে।

গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আজ পর্যন্ত প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দিনরাত এক করে চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিকরা পরিশ্রম করে চলেছেন যাতে এই মহামারী থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়। এই রকম জটিল একটা সময়ে কার্যত অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, মানুষ যেমন একটি প্রাণী, মানুষের যেমন বাঁচার অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনই করোনাভাইরাস একটি প্রাণী যার বাঁচার অধিকার রয়েছে। মানুষ চাইছে তাকে ক্রমাগত মেরে ফেলতে, সেই কারণে সে বারবার নিজের রূপ বদলে বাঁচার চেষ্টা করছে! তিনি আরো বলেন, মানুষ ঠিক যেভাবে প্রতিনিয়ত বাঁচতে চায়, করোনাভাইরাস ঠিক একই ভাবে নিজেকে বাঁচাতে চায়। সেই কারণে মানুষের হাত থেকে বাঁচতে করোনাভাইরাস নিজের রূপ বদলাচ্ছে বারবার। 

এর পাশাপাশি ফের একবার গরু নিয়ে কৌতূহল উদ্দীপক মন্তব্য করেছেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তিনি বলছেন গরু একমাত্র প্রাণী যে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। তাই গরুর কাছাকাছি থাকলে নাকি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তাড়াতাড়ি। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অনেক বিজেপি নেতাই গোমূত্র এবং গোবর নিয়ে সাড়া জাগানো মন্তব্য করেছেন। করোনাভাইরাস তাড়াতে যে এই দুটি জিনিস কাজে লাগে সেও দাবি করেছেন। এমনকি গোবর মেখে স্নান এবং গোমূত্র খাওয়ার নিদান পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন বৈজ্ঞানিক মতামত প্রকাশ্যে আসেনি। চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহল এই ব্যাপারে ঠিক কিভাবে সেটা প্রকাশ্যে আসলে হয়তো বিজেপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা থামবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *