নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়া থেকে ইজরায়েল, আমেরিকা থেকে চিন বিশ্বের একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের ট্রায়াল শুরু করেছে সবে। এই পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করলেন রামদেব। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে করোনিল কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেই এর অনুমোদন দেওয়া হবে। অন্য দিকে, রামদেবের কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলল উত্তরাখণ্ডের আয়ুশ বিভাগ।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রামদেব করোনার ওষুধের খবর প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেছেন, করোনিল ও শ্বাসরি নামের এই দুটো ওষুধ করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে দেখেছেন বলেও জানান। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ গবেষণার পরেই এই ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই কেন্দ্রের কোপে পড়ে পতঞ্জলি। আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওষুধ পরীক্ষা করার আগে এর কোনও বিজ্ঞাপন করা যাবে না।
আয়ুশ মন্ত্রকের কাছে রামদেবের কাছে এই ওষুধের যাবতীয় তথ্য জানানোর বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়। শুধু তাই নয়, উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে এই ওষুধ বিক্রির লাইসেন্সও দেখতে চাওয়া হয়েছে। আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সবার আগে তাদের কাছে তথ্য আসা প্রয়োজন। জানানো হয়েছে, ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা না করে একে অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ততদিন এই ওষুধের কোনও প্রচার করা যাবে না বলে আয়ুশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, রামদেব জানিয়েছেন, আয়ুশ মন্ত্রকে যাবতীয় সাহায্য তিনি করবেন।