তরুণীর শরীরে মেলেনি শুক্রাণু, দাবি পুলিশের! বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ‘হুমকি’ DM-এর

তরুণীর শরীরে মেলেনি শুক্রাণু, দাবি পুলিশের! বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ‘হুমকি’ DM-এর

লখনউ: গণধর্ষণকাণ্ডে ফের মুখ পোড়াল যোগীর প্রশাসন৷ গণধর্ষণের ঘটনায় ১৮ দিন পুলিশের শীর্ষকর্তার দাবি ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সরাসরি এবার হুমকি গেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা শাসকের বিরুদ্ধে৷ বেশি বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতিপূরণ মিলবে না বলেও হুমকি দিয়ে এসেছেন জেলা শাসক, অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের৷ হুমকি দেওয়ার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল৷

ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, আজ সকালে জেলাশাসক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেতে গিয়ে সরাসরি জেলাশাসক জানিয়ে দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা ক্ষতিপূরণ ও চাকরি কিছুই মিলবে না৷ তারা যেন কোনও ভাবেই এই ঘটনা নিয়ে বেশি মিডিয়ার মাসনে মাতামাতি না করেন৷ মিডিয়া তো দু’তিন পর চলে যাবে৷ তারপর কী হবে? পরিবার বয়ান পরিবর্তন করতে চাইলে করতে পারে, কিন্তু তা না হলে প্রশাসনও বদলে যাবে বলেও হুমকি দিয়ে আসেন জেলা শাসক৷ একই সঙ্গে জানান, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি কিছুই পাওয়া যাবে না৷ জেলা শাসকের এই হুমকির ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল৷ জেলা শাসকের হুমকিতে আতঙ্কে দিন কাটাছে নির্যাতিতার পরিবার৷

অন্যদিকে, যোগীর পুলিশের শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, নির্যাতিতা গণধর্ষণের শিকার হননি৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি জানিয়েছেন, ওই তরুণীর শরীরে কোনও শুক্রাণু পাওয়া যায়নি৷ ফলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তার প্রমাণ নেই৷ পুলিশকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ ফরেনসিক টেস্টে তরুণীর শরীরে শুক্রাণু পাওয়া যায়নি অর্থাৎ তাঁকে কোনভাবেই ধর্ষণ করা হয়েছে তা প্রমাণিত নয়৷

যোগী প্রশাসনের এহেন পদক্ষেপ ঘিরে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ যদিও ধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের নামে প্রহসনের ঘটনা ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে গোটা দেশ৷ হাসপাতলে তরুণী মৃত্যুর পরও দেহ তুলে দেওয়া হয়নি পরিবারের হাতে৷ মধ্যরাতে ধর্ষিতার দেহ গ্রামের অদূরেই পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ৷ চূড়ান্ত অমানবিকতার নজির গড়ার পর পুলিশের এই দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ অন্যদিকে আজে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ছিলেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল৷ কিন্তু পুলিশের তরফে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছিল৷ জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা৷ যমুনা এক্সপ্রেসের ওপর রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে করা হয় গ্রেফতার৷ কংগ্রেস কর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়৷ এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + nine =