নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে এবার আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মহড়া চালাবে বিশ্বের বৃহত্তম রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ৷ ইতিমধ্যেই মলক্কা স্ট্রেট হয়ে ভারত মহাসাগরে পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর এই যুদ্ধ জাহাজ৷
২০২০ সালে জাপানি নৌবাহিনীর সঙ্গে একই রকমভাবে মহড়া চালিয়েছিল ভারত৷ সেই ধারাবাহিকতা বাজায় রাখতেই ভারত-মার্কিন যৌথ নৌ মহড়া বলে মনে করা হচ্ছে৷ ভারত ও জাপানি নৌবাহিনীর এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছিল “Passex” বা পাসিং এক্সারসাইজ৷
দক্ষিণ চিন সাগরে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের সঙ্গেই মহড়া চালাচ্ছিল রণতরী (এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার) ইউএসএস নিমিৎজ৷ দক্ষিণ চিন সাগরের দখলদারি নিয়ে টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। বিস্তৃত ওই সাগরে চিন-আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধকে ঘিরে নতুন করে ‘ঝড়’ উঠছে। চিন ছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর ঘিরে রয়েছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপিন্সের মতো দেশ। বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওই সাগরের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই সাগরের উপর দিয়েই বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জাহাজ চলাচল করে। পাশাপাশি প্রচুর খনিজ সম্পদও রয়েছে ওই এলাকায়। অভিযোগ, সমস্ত দেশকে সরিয়ে একাই দক্ষিণ চিন সাগরে কর্তৃত্ব করতে চাইছে বেজিং। ফিলিপাইন সাগরে মার্কিন রণতরীর এই মহড়ার প্রসঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনীর বক্তব্য, এই অঞ্চলে মিত্রদের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ শক্তি প্রতিহত করতে আমরা কতখানি প্রস্তুত, এটা তারই নিদর্শন৷
এদিকে, ভারতীয় মহাসগরে চিনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ আফ্রিকার জিবৌতিতে একমাত্র সামরিক ঘাঁটি রয়েছে চিনের৷ যা আবার কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ এটি সুয়োজ খাল, আডেন উপসাগর এবং বৃহত্তর ভারত মহাসাগরের সংযোগকারী অঞ্চলে অবস্থিত৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা আগ্রাসনের মধ্যেই মার্কিন রণতরীর সঙ্গে ভারতের এই মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ গত মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ২০ ভারতীয় জওয়ানের৷
পরিকল্পিতভাবেই ভারতীয় জওয়ানদের উপর চিনা সেনারা এই হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের৷ অন্যদিকে, চলতি বছরের শেষে মালাবারে ভারত, আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও মহড়ায় যোগ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷