নয়াদিল্লি: গতকাল ভাতিন্দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে পড়ে প্রায় ২০ মিনিটের জন্য। এই ঘটনায় বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিজেপি পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করছে। এই ঘটনার জন্য পঞ্জাব সরকারকেই দায়ী করেছে বিজেপি৷ এবার এই ইস্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও উঠে গেল প্রশ্ন। প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিং সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে একটি আর্জি দাখিল করেন।
গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে একের পর এক আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। সেই প্রেক্ষিতেও সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী প্রশ্ন তুলে দাবি রাখেন যাতে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে ভবিষ্যতে। আগামিকালই শীর্ষ আদালতে এই আর্জির শুনানি শুরু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু তিনি কৃষকদের ওপর লাঠি চালাতে পারতেন না। এক কথায়, তিনি তাঁর এবং তাঁর সরকারের ওপর ওঠা যাবতীয় দোষ ঝেড়ে ফেলেছেন। তবে পঞ্জাব সরকারের তরফে দুই সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে এই ঘটনার জন্য। এই তদন্তকারী দলের সদস্য হলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহবাত গিল এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিব অনুরাগ ভর্মা। আগামী তিনদিনের মধ্যে তারা সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।
ভাতিন্দা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তীব্র সমালোচনা করে দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার প্রধানমন্ত্রীকে ঘৃণা করে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। পরিকল্পনা করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি হয়। এটা একটা ষড়যন্ত্র। তিনি আরও বলেন, কোনও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল মানা হয়নি। পঞ্জাব পুলিশ চুপ করে ছিল। এই প্রেক্ষিতে তিনি পঞ্জাব সরকারের কাছে ঘটনার ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়েছেন।