নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার৷ বিভিন্ন রাজ্যে জারি লকডাউনে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি আঘাত এসেছিল প্রথম ঢেউয়ে৷ বেকারত্ব ইস্যুতে সংসদে এমনই তথ্য তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী৷ তিনি জানান, ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন মাসে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ২০.৮ শতাংশ৷ সেই সময় কড়া লকডাউন জারি ছিল গোটা দেশে৷
আরও পড়ুন- ১২৫ দিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ দেশে, দৈনিক মৃত্যু হল ৪০০-র কম
সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী লোকসভায় জানান, ‘‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস)- ত্রৈমাসিক বুলেটিন ২০২০ এপ্রিল-জুন অনুযায়ী, দেশের শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের ‘কারেন্ট উইকলি স্টেটাস (সিডব্লিউএস)-এ ত্রৈমাসিক বেকারত্বের হার জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ ৮.৩ শতাংশ, অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৯-এ ৭.৮ শতাংশ, জানুয়ারি-মার্চ ২০২০-তে ৯.১ শতাংশ এবং এপ্রিল-জুন ২০২০-তে ছিল ২০.৮ শতাংশ৷’’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, যদিও গোটা দেশের সামগ্রিক কর্মসংস্থান ও বেকারত্বের হার শহর ও গ্রামঞ্চলে গোটা বছরের সার্ভে ডাটার উপর ভিত্তি করে বোঝা সম্ভব৷
আরও পড়ুন- বকরি ইদের আগে লকডাউনে শিথিলতা, পরাজ্যকে ভর্ৎসনা সুপ্রিমকোর্টের
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সংসদে জানান, বার্ষিক পিএলএফএস ডেটা ২০১৮-১৯ পর্যন্ত উপলব্ধ৷ বার্ষিক পিএলএফএস-এর ফলাফল অনুসারে দেশে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল যথাক্রমে ৬.০ শতাংশ এবং ৫.৮ শতাংশ৷ শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার মতো একাধিক প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ যা ইপিএফ-এ ভর্তুকিও দেয়৷ শ্রমমন্ত্রী আরও জানান, ইপিএফ-এ ২৪ শতাংশ বকেয়া দেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷