শ্রীনগর: জম্মু কাশ্মীর সীমান্ত এলাকায় অশান্তি গোলযোগ লেগে থাকে সারাবছরই। আভ্যন্তরীণ সমস্যা হোক বা ভারত-পাক চিরন্তন দ্বন্দ্ব, প্রায়সই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর পশ্চিমের এই উপত্যকা অঞ্চল। তবে উপত্যাকা যাঁদের জন্মভিটে শত অশান্তির মাঝেও তাঁরা ফিরে ফিরে আসতে চায় এই কাশ্মীরেই। আইএএস অফিসার আথার আমির খানরা তাই সেই সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (IAS) ৫ জন আধিকারিককে বছর তিনেকের জন্য জম্মু কাশ্মীরের আভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো পর্যালোচনার দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় মন্ত্রিপরিষদের নিয়োগ কমিটি। আর তার ফলেই দীর্ঘদিন পর ‘ঘরে’ ফেরার সুযোগ পেয়েছে ‘ঘরের ছেলে’। জানা গেছে, যে ৫ জন অফিসারকে উপত্যাকা অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩ জনই ওই এলাকার অধিবাসী। তিন বছরের জন্য নিজের এলাকায় থাকতে পারার কথা ভেবে তাঁরা আপ্লুত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের এই ৩ আইএএস অফিসার হলেন আথার আমির খান, বাশারাত কায়ুম এবং অক্ষয় লাব্রু। ২০১৭ সালের আইএএস পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন আথার আমির-উল-সাফি খান। এযাবৎ তিনি রাজস্থানের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার দেবীপোরা গ্রামের বাসিন্দা এই আথার আমির খান। অন্য রাজ্যের দায়িত্ব থেকে নিজের এলাকায় ফেরার সুযোগ পেয়েছেন বাশারাত কায়ুমও। এতদিন তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ড জেলার দায়িত্বে। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা অঞ্চলে ফোর জি (4g) স্পীডের ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পরে ফেরা স্বস্তির আবহে ঘরে ফিরছেন আইএএস অফিসাররা।