লখনউ: দু’জনের মধ্যে ঘোরতর বিবাদ। প্রায় যুদ্ধ যুদ্ধ ব্যাপার। একটি মোষ, তার মালিকানা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুই ব্যক্তির মধ্যে চরম বাদানুবাদ। শেষমেষ কোনো সুরাহা করতে না পেরে তারা দ্বারস্থ হয় রাজ্যের পুলিশের। অবাক করা এই ঘটনায়, অবাক হওয়ার মতোই নিদান দিয়েছে পুলিশ। আসল মালিক কে, তা চিনে নিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ওই মোষকেই! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজে।
বীরেন্দ্র আর ধর্মেন্দ্র, দুজনে আলাদা আলাদা গ্রামে থাকে। একজনের বাস আলিনগর, অন্যজন থাকে মাধবনগর। কিন্তু একটি মোষকে নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। দুইজন একই দাবি করে তারা ওই মোষটির মালিক। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, এমনকি তর্কাতর্কি করেও কোনো সুরাহা করতে পারে না। অবশেষে তারা দুজনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। থানায় গিয়ে বীরেন্দ্র ধর্মেন্দ্রর নামে তার মোষ চুরি করার অভিযোগ আনে, দাবি করে, সে ঐ মোষটিকে একজষ মুসলিম ব্যক্তিকে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে ওই মুসলিম ব্যক্তি মোষটিকে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বীরেন্দ্র তাকে দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে সে তাকে বলে যে, মোষটি তার। তখন ওই মুসলিম ব্যক্তি তাকে জানায়, সে ধর্মেন্দ্র নামের এক ব্যক্তির থেকে এই মোষটি কিনেছে।
এদিকে ধর্মেন্দ্র দাবি করে, ওই মোষটি তার, সে ১৯,০০০ টাকায় সেটি ওই মুসলিম ব্যক্তিকে বিক্রি করেছে। দুই ব্যক্তির এই লড়াইয়ের কথা শুনে ওই থানার সাব ইন্সপেক্টর বিজয়কান্ত মিশ্রা সিদ্ধান্ত নেন, মোষটিকেই সময় দেবেন যাতে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার মালিক কে! সেই জন্য থানায় ওই মোষটিকে এনে ধর্মেন্দ্র এবং বীরেন্দ্র দু’জনকেই তার নাম ধরে ডাকতে বলা হয়। ওই মোষটি ধর্মেন্দ্রর ডাকে সাড়া দেয়, কিন্তু বীরেন্দ্রকে পাত্তা দেয় না। এভাবেই এই সমস্যার সমাধান করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।